নিজস্ব প্রতিবেদন : এখন দেশের অধিকাংশ মানুষের হাতেই পৌঁছে গিয়েছে আধার কার্ড (Aadhaar Card)। আসলে আধার কার্ড এখন এমন গুরুত্বপূর্ণ নথি হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, আধার কার্ড না থাকলে সরকারি ভর্তুকি থেকে শুরু করে বিভিন্ন জরুরী কাজকর্ম হয় না। উদাহরণ হিসাবে বলতে গেলে বলা যায়, আধার কার্ড না থাকলে রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি থেকে শুরু করে রেশনে বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী ইত্যাদি কিছুই পাওয়া যায় না। আবার আধার কার্ড না থাকলে এখন স্কুলে ভর্তি হওয়া থেকে শুরু করে পরীক্ষা ইত্যাদিও বেশ সমস্যা দায়ক হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
ভারতীয় নাগরিকদের কাছে আধার কার্ড যতটাই গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে পরিণত হয়েছে, ঠিক ততটাই এবার আধার কার্ডের সুরক্ষার দিকটিও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যে কারণে UIDAI আধার সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নিয়মের কথা বলে থাকে। আর সেই সকল নিয়মের (Aadhaar Card Rules) মধ্যে আধারে ক’টি কাজ করা হলেই ১০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা আদায় করা হয়, এমনকি জেলেও পাঠানো হয়।
যদি কোন ব্যক্তি আধার কার্ড তৈরি করানোর সময় নকল বায়োমেট্রিক দেন এবং ধরা পড়েন তাহলে তার তিন বছর পর্যন্ত জেল হয়। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে ১০০০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। শুধু তাই নয়, অভিযোগ গুরুতর হলে ১০ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি তিন বছর জেল দুটোই হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন ? Aadhaar Card Update: হাজার হাজার টাকা খরচ করেও হবে না, আধারের এই সব তথ্য বদলানো অসম্ভব
যদি কোন ব্যক্তি আধার নম্বর অথবা বায়োমেট্রিক তথ্য পরিবর্তন করে থাকেন, অন্য কারো আধার নম্বর ব্যবহার করে থাকেন তাহলে ধরা পড়লেই ওই ব্যক্তির থেকে ১০০০০ টাকা জরিমানা অথবা তিন বছরের জেল হয়ে থাকে। কোন কোন ক্ষেত্রে দুটোই হয়।
এছাড়াও যদি কেউ আধার তৈরি করা অথবা আপডেট করার নাম করে কোন সংস্থা তৈরি করে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে থাকে ইউআইডিএআই। এক্ষেত্রে ১০০০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়াও তিন বছর জেল হতে পারে।
অন্যদিকে যদি আধার কার্ডের তথ্য বিকৃত করা হয় তাহলে ১০ বছরের জেল এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হতে পারে।