নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশজুড়ে জাতীয় সড়কের জাল বিছিয়ে দেওয়ার প্রকল্প হিসাবে আগেই কলকাতা থেকে বারাণসী এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে কেন্দ্র। শুধু পরিকল্পনা নয়, এ নিয়ে চূড়ান্ত নকশা তৈরি করে ফেলেছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করার জন্যই কেন্দ্র হুগলি নদীর উপর তৃতীয় সেতু তৈরি করতে চলেছে।
এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করার জন্য গত সপ্তাহে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জেলাশাসক এবং পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক সেরে ফেলেছে। জাতীয় সড়ক সূত্রে জানা যাচ্ছে, কলকাতা থেকে বারাণসী ৫৪৯ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হবে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের উপর যে পরিমাণ রাস্তা পড়বে তা হল ২৫৬ কিলোমিটার।
বারাণসী থেকে এই জাতীয় সড়ক পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি ও হাওড়া হয়ে কলকাতায় প্রবেশ করবে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে এই জাতীয় সড়ক প্রবেশ করবে পুরুলিয়ার ঝালদায়। এই রাস্তা তৈরি হলে কলকাতা থেকে বারাণসী অথবা বারাণসী থেকে কলকাতা অনেক কম সময়ে পৌঁছানো সম্ভব হবে। রবীন্দ্র সেতু এবং দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ওপর যানজট এড়ানোর জন্যই এই নতুন সেতু তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে সম্প্রতি এই বিষয়ে যে বৈঠক করা হয়েছে তাতে এই জাতীয় সড়ক নির্মাণ করার জন্য পরিবেশবান্ধব সরঞ্জাম ব্যবহার করার বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে। শনিবার দুর্গাপুরে এনআইটি দুর্গাপুর ও একটি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে প্রমোশন অব গ্রিন টেকনোলজি অন রুরাল রোড কনস্ট্রাকশন নিয়ে আলোচনা হয়।
কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির ডিরেক্টর (টেকনিক্যাল) বিসি প্রধান জানিয়েছেন, ওসিপির ওভারবার্ডেন, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্লাস্ট ফার্নেসের স্ল্যাগ, ফ্লাই অ্যাশ ইত্যাদি উপাদান এই রাস্তা তৈরির জন্য বিকল্প ব্যবহার করা যেতে পারে।