১০ ক্রিকেটার যারা দুই দেশের হয়ে খেলেছেন, তালিকায় ৩ জন ভারতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদন : ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন অনেকেই দেখেন। কিন্তু ক্রিকেটার হওয়া একেবারেই সহজ নয়। ক্রিকেটার হতে গেলে নিজেদের যোগ্যতা প্ৰমাণ করতে হয় প্রতি মূহূর্তে। যেখানে একটি দলে সুযোগ পেতেই কালঘাম ছুটে যায় সেখানে হাতেগোনা কয়েকজন ক্রিকেটার রয়েছেন যারা শুধুমাত্র একটি নয় দুটি জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। দেখে নিবো এমন ১০ জন ক্রিকেট তারকরাকে।

ইয়ন মর্গ্যান : জন্মসূত্রে আইরিশ ইয়ন মর্গ্যান প্রথম ওয়ান ডে খেলার সূচনা করেন আয়ারল্যান্ডের হয়ে। পরে খেলা শুরু করেন ইংল্যান্ডের হয়ে। প্রথম টেস্ট খেলেন ইংল্যান্ডের হয়ে। অর্থাৎ তিনি আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ড দু’দলের হয়েই খেলেছেন। বাঁ হাতি এই ব্যাটসম্যানের অভিষেক হয় ২০০৬ সালে আয়ারল্যান্ডের হয়ে। আয়ারল্যান্ডের হয়ে ২৩ টি ওয়ান ডে ম্যাচ খেলেছেন তিনি। এরপর ২০০৯ সালে যোগ দেন ইংল্যান্ডে। ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার স্বপ্ন ছিল ইয়ন মর্গ্যানের। সেই স্বপ্নই পূরণ করেন তিনি। মর্গ্যান একদিনের আন্তর্জাতিক ও টি ২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের হয়ে অধিনায়কত্ব করেছেন।

ইড জয়েস : এডমন্ড ক্রিস্টোফার জয়েসের জন্ম হয় আয়ারল্যন্ডের ডাবলিনে। এড জয়েস প্রথমে আয়ারল্যান্ডের হয়ে খেলেন। পরবর্তীতে যোগ দেন ইংল্যান্ডে। তিনি মূলত বাঁ হাতে ব্যাটিং করেন। তবে মিডিয়াম পেস বোলিং করেন ডান হাতে। আয়ারল্যান্ডের হয়ে বহু খেলায় অংশ নেন। ইড জয়েসকে এখনও আয়ারল্যান্ডের প্রথম সারির ক্রিকেটারদের মধ্যে গন্য করা হয়।

কেপলার ওয়েসেলস :
কেপলার ক্রিস্টোফেল ওয়েসেলেসের জন্ম দক্ষিন আফ্রিকার ব্লুমফন্টেইনে। অস্ট্রেলিয়া দলের হয়ে তাঁর অভিষেক হয়। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মোট ২৪টি টেস্ট ও ৫৪টি ওয়ান ডে ম্যাচ খেলেছেন ওয়েসেলস। পরবর্তীতে দক্ষিন আফ্রিকার হয়ে খেলেন। প্রোটিয়াদের হয়ে তিনি খেলেছেন ১৬টি টেস্ট ও ৫৫টি ওয়ানডে। প্রাক্তণ দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক কেপলার ওয়েসেলস হলেন ইতিহাসের প্রথম ও একমাত্র খেলোয়াড় যিনি টেস্ট ও ওয়ান ডে, দুই ফরম্যাটেই ভিন্ন দুটি দেশের হয়ে খেলেছেন।

বয়েড রেনকিন : বয়েড রেনকিনের জন্ম উত্তর আয়ারল্যান্ডে। ডান হাতি এই মিডিয়াম ফাস্ট বোলার প্রথমে আয়ারল্যান্ডের হয়ে খেলেন পরবর্তীকালে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেন। ডান হাতি এই মিডিয়াম ফাস্ট বোলার সারা দেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন খেলার জন্য।

লুক রঞ্চি : লুক রঞ্চির খেলায় অভিষেক হয় অস্ট্রেলিয়ার হয়ে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২০০৮ সাল থেকে খেলা শুরু করেন তিনি। এরপর নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলায় সুযোগ পান। মূলত ক্রিকেট রক্ষক তিনি।

ডার্ক ন্যানেস : ডার্ক পিটার ন্যানেসের জন্ম ভিক্টোরিয়ার মাউন্ট ওয়েভার্লিতে। তিনি অস্ট্রেলিয়া ও নেদারল্যান্ডসের হয়ে খেলেছেন। বাম হাতি ফাস্ট বোলিংয়ের জন্য বিখ্যাত তিনি। ২০১০ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে অবসর নেন তিনি।

বোয়েলফ ভ্যান ভার মারউই : তিনি প্রথমে দক্ষিন আফ্রিকার হয়ে খেলেন। প্রোটিয়াদের হয়ে খেলেন মোট ১৩টি টি ২০। এরপর নেদারল্যান্ডসের হয়ে মোট আটটি টি ২০ ম্যাচ খেলেন এই বাঁ হাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার।

ইফতিখার আলী খান পতৌদি : দুটি ভিন্ন দেশের হয়ে খেলা ক্রিকেটারের অন্যতম উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হলেন নবাব ইফতিখার আলী খান পতৌদি। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মনসুর আলী খান ওরফে ‘টাইগার’ পতৌদির বাবা ইফতিখার আলী খান পতৌদি ভারতের হয়ে খেলার আগে টেস্ট ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করেছেন ইংল্যান্ডের হয়ে।

আবদুল হাফিজ কারদার : তিনি জন্মগ্রহন করেন তৎকালীন লাহোরে। মূলত বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন ও স্লো লেফট আর্ম স্পিনার ছিলেন। ১৯৪৬ সালে ভারতের হয়ে তাঁর খেলায় অভিষেক হয়। এরপর পাকিস্তানের হয়েও খেলেন তিনি।

গুল মুহম্মদ : গুল মুহম্মদের জন্ম লাহোর পাঞ্জাবে। বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন। তিনি ভারত ও পাকিস্তানের হয়ে খেলেন।