নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে যানবাহনের সংখ্যা। এখন প্রায় বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে মোটরবাইক, এমনকি চার চাকা। এই সকল মোটরবাইক এবং চার চাকা যাই হোক না কেন যানবাহন চালানোর সময় বেশ কিছু ট্রাফিক আইন রয়েছে যেগুলি মানতে হয়।
ট্রাফিক নিয়ম মানার ক্ষেত্রে অধিকাংশ মানুষ যা বুঝে থাকেন তা হল ড্রাইভিং লাইসেন্স সঙ্গে রাখা, গাড়ির নথিপত্র সঙ্গে রাখা, বাইক চালানোর সময় হেলমেট পরা এই সকল। তবে এসবের বাইরেও আরও বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলি মেনে চলতে হয়। সেই সকল নিয়মের মধ্যে এমন ৪টি নিয়ম রয়েছে যেগুলি না মানলে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
কোন চালকের থেকে যদি একের বেশি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যায় অর্থাৎ তার নামে একের বেশি ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকে তাহলে তাকে ট্রাফিক নিয়ম অনুসারে জরিমানা করা হয়। বহু চালকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় দু’ধরনের লাইসেন্স রয়েছে আলাদা আলাদা ভাবে। এটি কিন্তু আইন বিরুদ্ধ।
গাড়ি চালানোর সময় ন্যাভিগেশনের জন্য অনেকে ফোনের ব্যবহার করে থাকেন। তবে তাও ব্যবহার করার ক্ষেত্রে নিয়ম রয়েছে। এছাড়া গাড়ি চালানোর সময় অন্য কোন কাজে ফোন ব্যবহার করলে চালকের ৫০০০ টাকা জরিমানা হতে পারে।
জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত যানবাহনকে রাস্তা না ছাড়লে চালককে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে। জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যে সকল গাড়ির নাম জড়িয়ে রয়েছে সেগুলি হল ফায়ার ব্রিগেড, অ্যাম্বুল্যান্স, পুলিশের গাড়ি। এছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে আরও কতগুলি গাড়ি।
মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো হলে যদি চালক ধরা পড়েন তাহলে চিরতরে তার গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ হতে পারে। এর পাশাপাশি শারীরিকভাবে এবং মানসিকভাবে অযোগ্য কাউকে গাড়ি চালানো অবস্থায় ধরা পড়লে প্রথমবার ১ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয়বার ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।