মানুষ কত ভাবে প্রতারণার স্বীকার হতে পারে সে জিনিস এখন কল্পনাও করা যায় না। সম্প্রতি ১০ টি রাজ্যে ২৭ জন মহিলাকে বিয়ে করে প্রতারণা (Fraud) করলেন এক ব্যক্তি। জানা যায় ওই মহিলাগণকে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করার জন্য ওড়িশা পুলিশ গত বছর ওই প্রতারক রমেশ সোয়েন (Ramesh Swain) -কে গ্রেপ্তার করেছিল।
২৭ বার বিয়ে করে ওই ব্যক্তি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন। ৬৬ বছর বয়সী এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ED (Enforcement Directorate) রমেশ মামলা দায়ের করেছে। যাকে বর্তমানে ওড়িশার (Orisha) সবচেয়ে বড় “প্রতারক” বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মামলা নথিভুক্ত হওয়ার পর রমেশের আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে তদন্ত করা হবে। পাশাপাশি, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সি রিমান্ডও চাইতে পারে।
আট মাস তল্লাশির পর গত ১৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। মূলত, ২০২১ সালের মে মাসে দিল্লিতে বসবাসকারী রমেশের এক স্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি ২০১৮ সালে একটি ম্যাট্রিমনি সাইটের (Matrimony Site) মাধ্যমে রমেশের সাথে দেখা করেছিলেন এবং বিবাহ করেছিলেন।
রমেশের একাধিক বিয়ের প্রসঙ্গেও বিভিন্ন তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, রমেশের ভুবনেশ্বরে (Bhubaneswar) তিনটি ভাড়া বাড়ি ছিল। যেখানে তিনি একসঙ্গে তিনজন স্ত্রীকে রেখেছিলেন। তাঁর স্ত্রীরা পুলিশকে আরও জানিয়েছেন, রমেশ স্ত্রীদের কাছ প্রথমে ঋণ চাইতেন এবং টাকা পাওয়ার পর তিনি আবার বিবাহ করতেন।
জানা যায়, তিনি ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটের মাধ্যমে মহিলাদের সাথে বন্ধুত্ব করতেন। এবং এর পর একের পর এক বিয়ে করতেন। রমেশ প্রতিবারই নিজেকে চিকিৎসক বলে পরিচয় দিতেন। পাশাপাশি, পেশায় শিক্ষিকা, আইনজীবী ও চিকিৎসক মহিলাদের নিজের জালে ফাঁসাতেন। তাঁর প্রথম দু’জন স্ত্রী ওড়িশার বাসিন্দা হলেও বাকিরা দিল্লি (Delhi), পাঞ্জাব (Punjab), আসাম(Assam), ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) মতো রাজ্যে থাকতেন।
এছাড়াও, ২০১১ সালে রমেশের বিরুদ্ধে হায়দ্রাবাদে এমবিবিএস সিটের বিনিময়ে ২ কোটি টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ রয়েছে। এর পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে ২০০৬ সালে কেরালার বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্কে এক কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগও রয়েছে। এমতাবস্থায়, ইডি আধিকারিক জানিয়েছেন, তদন্তকারী সংস্থা রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। এছাড়াও, রমেশ ও তাঁর নিকটাত্মীয়দের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া নথিগুলিও পরীক্ষা করা হচ্ছে।