This architecture made of white marble is comparable to the Taj Mahal: বিশ্বের সপ্তাশ্চর্যের মধ্যে অন্যতম ভারতের তাজমহল। মূলত এটি একটি সমাধিস্থল। ১৬৩২ খ্রিস্টাব্দে এই সমাধিস্থল প্রতিষ্ঠা করা হয়। তৎকালীন ভারতে রাজত্বকারী মোগল সম্রাট শাহজাহানের নির্দেশে তার অন্যতম প্রিয় স্ত্রী মমতাজ বেগমের সমাধি ক্ষেত্র তৈরি করা হয়। সাদা মার্বেল পাথরে (White Marbel Architecture) তৈরি এই সমাধি ক্ষেত্র তাজমহল নামে পরিচিত। আসলে এটি সমাধিক্ষেত্র হলেও ভারতীয়দের কাছে তথা সমগ্র বিশ্ববাসীর কাছে এই সমাধিস্থল প্রেমের প্রতীক। কিন্তু সৌন্দর্যের দিক থেকে জনপ্রিয় এই স্মৃতি সৌধ সম্প্রতি প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে একটি মন্দিরের সাথে।
বিশ্ববাসীর কাছে চীন মানেই যেমন গ্রেট ওয়াল অফ চায়না, ফ্রান্স মানে আইফেল টাওয়ার, ঠিক তেমনি ভারত মানেই তাজমহল। প্রতিবছর দেশ বিদেশ থেকে মানুষ আসেন এই তাজমহলকে দর্শন করতে। ভারতের রাজধানী দিল্লির আগ্রা শহরে অবস্থিত তাজমহল সারা বছরই পর্যটকদের ভিড়ে জমজমাট। আগ্রা শহরে অবস্থিত আরও একটি সাদা পাথরের ইমারত (White Marbel Architecture), যা একটি মন্দির। সম্প্রীতি তাজমহলের সাথে সেই মন্দিরের একপ্রকার প্রতিযোগিতা শুরু করে দিয়েছেন অনেকেই।
মন্দিরটির নাম রাধেসোয়ামি সৎসঙ্গ মন্দির। দিল্লির আগ্রা শহরেই অবস্থিত আরো একটি সাদা মার্বেল পাথরের ইমারত (White Marbel Architecture)। অনেকেই তাজমহলের সাথে এই মন্দিরে তুলনা করা শুরু করেছেন। কিন্তু এই মন্দিরের সাথে কি তাজমহলের তুলনা করা মানায়? ১৯০৪ সালে মন্দির তৈরি করা শুরু হয়েছিল, শেষ হয়েছে মাত্র কয়েক বছর আগে। প্রায় ১০৪ বছর ধরে তৈরি করা হয়েছে এই মন্দিরটিকে। এই মন্দিরটি তৈরির পিছনে প্রধান কারিগর ছিলেন সোমি শিবদল সিং। আগ্রা দয়ালবাগ এলাকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তৈরি করা হয়েছে এই মন্দিরটি, মূল আগ্রা থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে।
আরও পড়ুন ? Maa Flyover: দূর হয়ে যাবে মা ফ্লাইওভারের যানজট! নয়া পরিকল্পনা নিচ্ছে সরকার
১০০ বর্গফুটেরও বেশি আয়তন বিশিষ্ট মূল কাঠামো তৈরি করা হয়েছে রাধেসোয়ামি মন্দিরের জন্য। খ্রিস্টান, জৈন, হিন্দু, মুসলিম প্রত্যেকটি ধর্মীয় স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্যের নিদর্শন ফুটে উঠেছে এই মন্দিরের নকশায়। ১০০ বছর আগে এই মন্দিরের কাজ যারা শুরু করেছিলেন তাদের পরিবারের সদস্য রাই বংশপরম্পরায় মন্দিরের কাজ করে চলেছেন এখনো পর্যন্ত। নিঃসন্দেহে নতুন এই সাদা মার্বেল পাথরের মন্দিরটিও (White Marbel Architecture) আগ্রা শহরের অন্যতম দর্শনীয় স্থানের জায়গা করে নিয়েছে। প্রতিনিয়ত পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে এই মন্দিরকে ঘিরে।
একদিকে যেমন কিছু পর্যটক তাজমহলের সাথে রাধেসোয়ামি মন্দিরের (White Marbel Architecture) তুলনা করছেন। অন্যদিকে কিছু পর্যটক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, মন্দিরটি দেখতে সুন্দর হলেও তাজমহলের সাথে এর কোন তুলনাই চলে না। সারা বিশ্ব জুড়ে তাজমহলের একাধিক প্রতিকৃতি ছড়িয়ে রয়েছে। তার মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হল ভারতের মহারাষ্ট্রে তৈরি করা আরও একটি স্মৃতিসৌধ। অওরাঙ্গবাদের “বিবি কি মাকবারা”। বেগম রাবিয়া ঊদ দৌড়ানির মৃত্যুর পর তাজমহলের নকশাকে অনুকরণ করে আরও একটি স্মৃতিসৌধ বানানোর নির্দেশ দেন তৎকালীন মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব। তবে স্মৃতিসৌধিটি তৈরির কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত ঔরঙ্গজেব ছিলেন না। স্মৃতিসৌধটি শেষ পর্যন্ত তৈরি করেন তার পুত্র আজম খান।