This Bengali Girl is going to ISRO to become a Scientist even before Madhyamik Exam: সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হয়েছে। বিভিন্ন কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের সাফল্যের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। এর মাঝে আরো একটি সুখবর নিয়ে এলো নবম শ্রেণীর ছাত্রী অর্পিতা। সম্প্রীতি ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনে মহাকাশ গবেষণা সম্পর্কিত বিশেষ প্রশিক্ষণ ও গবেষণার সুযোগ পেয়েছে বালুরঘাটের পাতিরামের বাসিন্দা অর্পিতা সাহা। ইসরোর ইয়ং সায়েন্টিস্ট প্রোগ্রামে (ISRO Scientist) অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অর্পিতাকে।
ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের তরফ থেকে সর্বভারতীয় স্তরে “যুবিকা” নামে একটি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা ইয়ং সায়েন্টিস্ট প্রোগ্রামে (ISRO Scientist) অংশগ্রহণ করতে পারে। অর্পিতাও একই পদ্ধতিতে ১৪ দিনের জন্য ইয়ং সাইন্টিস্ট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছে। খুব শীঘ্রই অন্ধপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাবন স্পেস রিসার্চ সেন্টারে ২৫ দিন ব্যাপী পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নেবার সুযোগ দেওয়া হবে অর্পিতাকে। ভবিষ্যতেও মহাকাশ গবেষণা নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে অর্পিতাকে।
২০২৩ সালে পাতিপুকুরেরই আরেক কন্যা উপাসনা মন্ডল এই সুযোগ পেয়েছিল। অর্পিতা ও উপাসনা দুজনেই বিবেকানন্দ গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী। একই এলাকা ও একই স্কুল থেকে পরপর দু’বছর দুজন এই সুযোগ পাওয়ায় আনন্দিত স্কুল ও এলাকাবাসী সকলেই। অর্পিতার বাবা দীপঙ্কর সাহা পেশায় একজন ব্যবসায়ী এবং মা বর্না সাহা গৃহবধূ। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান অর্পিতা (ISRO Scientist) ১ লা মার্চ ২০২৪ এ ইসরোর যুবিকা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পরই, ইসরোর তরফ থেকে অর্পিতাকে সেখানে যাবার জন্য আহ্বান জানানো হয়। অর্পিতা ও তার বাবা ইতিমধ্যে সতীশ ধাবন স্পেস সেন্টারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
আরও পড়ুন ? IAS Bratati Dutta: তিন বছরের চেষ্টায় UPSC ক্র্যাক! বাংলার গর্ব সাদামাটা ব্রততী
মহাকাশ গবেষণার প্রতি অগাধ আগ্রহ অর্পিতা সাহার (ISRO Scientist)। চন্দ্রযান ৩ এর উৎক্ষেপণ থেকে সাফল্য প্রতিটা মুহূর্ত পর্যবেক্ষণ করেছে অর্পিতা। এখন সেই ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনে গবেষণা সম্পর্কিত পড়াশোনা করার সুযোগ পাচ্ছে অর্পিতা সাহা। এতে খুশি সে ও তার পরিবার। শ্রী হরিকোটার সতীশ ধাবন স্পেস সেন্টারে খুব শীঘ্রই মহাকাশ যান সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ শুরু হতে চলেছে। সেখানে শেখানো হবে, কিভাবে মহাকাশযান তৈরি করা হয়? কিভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়? কোন পদ্ধতিতে মহাকাশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করতে হয়? সবকিছু। এছাড়াও প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীকে সায়েন্টিস্ট হিসেবে কিছু গবেষণামূলক পাঠ প্রদান করা হবে।
চন্দ্রযান ৩ এর সাফল্য ব্যাখ্যা করা হবে এই প্রশিক্ষণে। শুরুর দিন থেকে চাঁদের বুকে অবতরণ অব্দি প্রতিটা খুঁটিনাটি বিষয় জানানো হবে শিক্ষার্থীদের। এছাড়াও ভবিষ্যতে মহাকাশ সম্পর্কিত গবেষণার সুযোগ দেওয়া হবে প্রত্যেককে। মহাকাশ গবেষণার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে সচেতন করা হবে সকলকে। এতদিন ধরে থাকা, খাওয়া এবং যাতায়াতের যাবতীয় খরচা বহন করবে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানিজেশন। ইসরোর তরফ থেকে আয়োজিত জীবিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দের মধ্যে মার্কসের ভিত্তিতে ৩৫০ জনকে এই সেমিনারে (ISRO Scientist) আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অর্পিতা এত বড় সুযোগ পেয়ে খুবই খুশি। মহাকাশ নিয়ে ভবিষ্যতেও গবেষণা করার ইচ্ছে রয়েছে তার। এছাড়াও ডাক্তারি পড়ার প্রতি ঝোঁক রয়েছে তার।