Suri: বিসর্জনের খরচ বাঁচিয়ে সদস্যের পাশে দাঁড়ালো সিউড়ির এই ক্লাব

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Suri: শরীরের দুটো কিডনি আজকে অচল হয়ে গেছে, ভর্তি হয়ে রয়েছেন বর্ধমান মেডিকেল কলেজে। জীবনের এই কঠিন পরিস্থিতিতে কিন্তু তাকে ছেড়ে যায়নি তার ক্লাব। বর্ধমানের পলাশ হাজরা কিডনির সমস্যায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজের চিকিৎসারত। তার ক্লাব কালীপুজোর বিসর্জনের খরচ কমিয়ে সেই টাকা দিয়ে সাহায্য করল তাকে।

Advertisements

সিউড়ির (Suri) বিবেকানন্দ ক্লাব এক নজির স্থাপন করেছে সকলের সামনে। বর্ধমানের জোড়াশিবতলার এই ক্লাব প্রমাণ করে দিল তারা জীব সেবায় বিশ্বাসী। ক্লাবের এক অসুস্থ সদস্যর পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল কালীপুজোর আগে থেকে। পুজোর চাঁদাতে ছাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল পলাশের ছবি এবং সাথে ছিল কিউআর কোড। অসুস্থ এই সদস্যকে যাতে আর্থিকভাবে সাহায্য করে সবাই তার জন্য ফোন নম্বরও দেওয়া ছিল। পলাশ দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিল। দুটো কিডনি খারাপ হওয়াতে পলাশ ভর্তি রয়েছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে।

Advertisements

আরো পড়ুন: ২ বা ৩টে নয়, দেখা যাবে প্রচুর জগদ্ধাত্রী! রইল চন্দননগরের রুট গাইড ম্যাপ

কালীপুজো উপলক্ষে সিউড়ির (Suri) এই ক্লাব যেন এক দৃষ্টান্ত তৈরি করে গেছে শহরের সামনে। শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠ মেধাবী ছাত্র ছিল পলাশ। বাবা-মরা এই ছেলেকে বাধ্য হয়ে কাজের সন্ধানে বেরোতে হয়েছিল। বর্তমানে যে রোগে আক্রান্ত হয়েছে পলাশ তা অত্যন্ত ব্যয় সাপেক্ষ, বাবা-মরা এই অভাবী ছেলেটার পক্ষে এই ব্যয়ভার বহন করা কখনোই সম্ভব না। সেই কারণেই তার ক্লাব পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে। মা কালীর কাছে শুধু এইটুকুই চাওয়ার যাতে ছেলেটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারে।

Advertisements

আরো পড়ুন: আর অ্যাকাউন্টে ঢুকবে না টাকা, পড়ুয়াদের ট্যাব দেওয়া নিয়ে হতে পারে নতুন সিদ্ধান্ত

তার চিকিৎসার জন্য টাকা যোগাড় করতে গিয়ে বিসর্জনের খরচ পর্যন্ত কমিয়ে দিল সিউড়ির (Suri) এই ক্লাব। সিউড়ির বিবেকানন্দ ক্লাব তাদের ভাসানে যে শোভাযাত্রা বার করে তা দেখার জন্য রাস্তার ধারে লোক দাঁড়িয়ে থাকে। কিন্তু এবারের পুজোর সমস্ত টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে পলাশের বাড়ির লোকের কাছে। এবার ক্লাবে তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল কালীপুজো হবে পলাশের জন্য।

খুব সাধারন এবং ছিমছামভাবেই পুজো হয়েছে এবার। ছোট প্রতিমা এবং ছোট প্যান্ডেল কিন্তু ভক্তির কোনো রকম খামতি ছিল না। মন্ত্র উচ্চারণের জন্য মাইকের ব্যবহার করলেও কোনরকম বিনোদনমূলক কাজের জন্য তা ব্যবহার করা হয়নি। পুজোর বিসর্জন বন্ধের এই ঘটনা নতুন নয় এর আগেও কুড়ি বছর আগে বন্ধ হয়ে গেছিল কালীপুজোর বিসর্জন। কারণ পুজোর ঠিক দুদিন আগেই মারা গিয়েছিল ক্লাবের এক সদস্য। কালীপুজোর থেকেও পুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রা অনেক বড় করে করতো এই ক্লাব। জোড়াশিবতলার এই ক্লাব যেন গোটা পাড়া কি বেঁধে রেখেছে একই সুতোতে। বর্ধমান মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার আগে পলাশ অ্যাম্বুলেন্সে করে মায়ের দর্শন করে গেছে। তাকে দেখার জন্য রীতিমত ভিড় চলে গেছে পাড়াতে। সকলের এখন একটাই প্রার্থনা মা যেন সুস্থ করে বাড়ি ফিরিয়ে দেয় পলাশকে।

Advertisements