নিজস্ব প্রতিবেদন : সবে শেষ হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। সবে কেন্দ্রের তৈরি হয়েছে নতুন সরকার। তবে ভোটের দামামা বাজা এখনো শেষ হয়নি। কেননা লোকসভা নির্বাচন শেষ হতে না হতেই ফের আবার ঘোষণা হয়ে গেল বিধানসভার উপ নির্বাচন (Assembly By Election WB)। আগামী মাসেই রয়েছে রাজ্যের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। আগামী ১০ জুলাই ভোট গ্রহণ হবে রাজ্যের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে।
যে চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে আগামী ১০ জুলাই ভোট গ্রহণ হবে সেই চারটি বিধানসভা কেন্দ্র হল রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ, বাগদা এবং মানিকতলা। এই চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক প্রাক্তন মন্ত্রী সাধন পান্ডে মৃত, রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী তৃণমূলের যোগ দিয়ে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তাফা দিয়ে লোকসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, একই ঘটনা ঘটেছিল বাগদা এবং রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের ক্ষেত্রেও।
এই চারটি লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনের জন্য শুক্রবার রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে তাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করলো সাংগঠনিকভাবে। তৃণমূলের তরফ থেকে যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে সেই প্রার্থী তালিকায় বড় চমক রয়েছে। কেননা বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসা প্রাক্তন তিন বিধায়ক যারা সাংসদ হওয়ার লড়াইয়ে নেমেছিলেন এবং হেরে গিয়েছিলেন তাদের দুজনকে সুযোগ দিলেও একজনকে সুযোগ দেওয়া হয়নি। আর যে কেন্দ্রে সুযোগ দেওয়া হয়নি সেই কেন্দ্রেই রয়েছে চমক।
মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তৃণমূলের তরফ থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে সাধন পান্ডের স্ত্রী সুপ্তি পান্ডেকে। রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ফের টিকিট দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন বিধায়ক (বিজেপি) কৃষ্ণ কল্যাণীকে, যিনি এবার তৃণমূলের টিকিটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজয়ের মুখ দেখেছিলেন। রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রে ফের সুযোগ দেওয়া হয়েছে বিজেপি ত্যাগী মুকুটমণি অধিকারীকে, যিনিও এবার লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থী।
অন্যদিকে বিজেপিত্যাগী বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্র থেকে শেষ লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী করলেও তাকে আর বাগদা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তার জায়গায় তৃণমূল প্রার্থী করেছে মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্না ঠাকুরকে। মধুপর্না ঠাকুর আবার বনগাঁ লোকসভার বিজেপি বিধায়ক শান্তনু ঠাকুরের জেঠতুতো বোন। এক্ষেত্রে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পুনরায় বিধায়ক হওয়ার সুযোগ মুকুটমণি অধিকারী এবং কৃষ্ণ কল্যাণী পেলেও এমন সুযোগ হাতছাড়া হলো বিশ্বজিৎ দাসের। যদিও তিনি ভোটে দাঁড়াতে চাননা বলেই জানিয়েছেন।