রকেটের মত উত্থান হয়েও যেসকল ভারতীয় বোলারদের কেরিয়ার হঠাৎ শেষ হয়ে যায়

Madhab Das

Updated on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় ক্রিকেটে বেশ কিছু বোলার প্রথম আবির্ভাবেই তাদের পারফরম্যান্স দিয়ে একদিকে যেমন ক্রিকেট প্রেমীদের হৃদয় জয় করে নিয়েছিলেন, তেমনই স্থান করে নিয়েছেন ইতিহাসের পাতায়। কিন্তু ধারাবাহিকতার অভাবে বেশিদিন ধরে রাখতে পারেননি জাতীয় দলে স্থান। তবু ক্রিকেটের লোকগাঁথায় তাঁরাও আজও উজ্জ্বল তারার মতো জ্বলজ্বল করে আছেন।

Advertisements

১) প্রথমেই যে নামটা আমাদের মাথায় আসে, তিনি নরেন্দ্র দীপচাঁদ হিরওয়ানি। ভারতীয় ক্রিকেট দলে লেগ স্পিন বোলার হিসাবে অন্যতম সদস্য ছিলেন। টেস্টের অভিষেকে বিস্ময়কর সাফল্য লাভ করে ভারত ও বিশ্বের ক্রিকেট স্মরণীয় হয়ে আছেন।

Advertisements

Advertisements

জানুয়ারি, ১৯৮৮ সালে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে মাদ্রাজে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত ও চতুর্থ টেস্টে তাঁর অভিষেক হয়। প্রথম ইনিংসে তাঁর স্কোর হয় ৮/৬১। দ্বিতীয় ইনিংসে স্কোর হয় ৭৫/৮ ও টেস্টে সর্বমোট উইকেট পান ১৬ টি। এর ফলে বিশ্বের চতুর্থ বোলার হিসাবে অভিষেক টেস্টের এক ইনিংসে ৮ উইকেট লাভের বিরল সৌভাগ্য অর্জন করেন।

এরপরই শারজায় অনুষ্ঠিত ত্রি-দেশীয় প্রতিযোগিতায় তিন খেলায় ১০ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টের পুরস্কার লাভ করেন। কিন্তু ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দারুন ভাবে ব্যর্থ হন। এরপরই ধীরে ধীরে হারিয়ে যান ভারতীয় ক্রিকেট থেকে।

২) প্রবীন কুমার ডানহাতি মিডিয়াম প্রেস বোলার হিসাবে ভারতীয় দলে আত্মপ্রকাশ করেন। সঠিক নিশানা ও উচ্চতা বজায় রেখে বল করায় তিনি পারদর্শী ছিলেন। ২০০৭ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়পুরের সয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক এক দিবসীয় খেলায় অভিষেক ঘটে। ২০১১ সালে কিংস্টনে ওয়েষ্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট খেলেন। প্রথম টেস্টে পাঁচ উইকেট দখল করেন।

এছাড়াও আইপিএলের ৭ম বোলার হিসাবে হ্যাট্রিক করেছিলেন। কিন্তু ধারাবাহিকতার অভাবে তিনি ক্রিকেট খেলা থেকে হারিয়ে যান।

৩) ইরফান পাঠান ২০০৩ সালে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আত্মপ্রকাশ করেন। ওই বছরেই অ্যাডিলেড ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০০৬ সালে পাকিস্তান সফরে করাচি টেস্ট ম্যাচে তিনি হ্যাটট্রিক করেন। যা তাকে প্রচারের আলোয় নিয়ে আসে। একদিবসীয় আন্তর্জাতিক খেলায় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৫ উইকেট নেন। ভারতীয় ক্রিকেটে নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় হিসাবে জায়গা করে নিলেও শেষ পর্যন্ত দল থেকে বাদ পড়েন। আর ফিরে আসতে পারেন নি জাতীয় দলে।

ঠিক তেমনই বেঙ্কটপতি রাজু, রাজেশ চৌহান, মুনাফ প্যাটেলের মতো খেলোয়াড়দের রকেটের মত আবির্ভাবে হইচই ফেলে দিলেও জাতীয় দলে দীর্ঘকাল থাকতে পারেননি। হারিয়ে গেছেন ধারাবাহিকতার অভাবে। কিন্তু তাদের অবদান রয়ে গেছে কিছু স্মৃতিকাতর ক্রিকেট প্রেমী ও ক্রিকেটের পরিসংখ্যানের ইতিহাসে।

Advertisements