This is the hottest place in the world: সাম্প্রতিক সময়ে বাংলা জুড়ে বিরাজ করছে গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়া। মূলত বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাস নিয়েই গ্রীষ্ম ঋতু। কিন্তু চলতি বছরে চৈত্র মাস থেকেই উষ্ণ তাপমাত্রা অনুভূত হয়েছে গোটা বাংলা জুড়ে। রেকর্ড ছুঁয়েছে ২০২৪-এর তাপমাত্রা। পৌঁছেছে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যার সাক্ষী থেকেছে গোটা বাংলার মানুষ। অনেকেই এই তীব্র দাবদাহে অসুস্থ হয়েছেন। ৪৭ ডিগ্রিতে হিমশিম অবস্থা বাংলার মানুষের। কিন্তু জানেন কি বিশ্বে এমন এক জায়গা রয়েছে যেখানে উষ্ণতা পৌঁছায় ৭০ ডিগ্রিতে। পৃথিবীর উষ্ণতম জায়গা (Hottest Place in World) হিসেবে পরিচিত। জানেন সেই জায়গা কোথায়? জানতে হলে অবশ্যই প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। ভবিষ্যতে কাজে লাগতে পারে।
শুধু বাংলা নয়, জানা গিয়েছে আফ্রিকার গরমের কথাও। এবার প্রবল গরমে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন আফ্রিকাবাসী। সেখানকার তাপমাত্রা ৪৬ থেকে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যে তাপমাত্রাতে হাঁসফাঁস অবস্থা দেখা গিয়েছে আফ্রিকার বহু মানুষের মধ্যে। চলতি বছরের গরমে হিট স্ট্রোকেও অনেকের মৃত্যু হয়েছে। তবে বিশ্বের এই জায়গায় এই ৪০-৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রা জলভাত। সেখানকার তাপমাত্রা পৌঁছায় ৭০ ডিগ্রিতে। যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। থাকলেও তা নিমেষেই শেষ হয়ে যায়।
কোথায় অবস্থিত বিশ্বের সেই উষ্ণতম জায়গা? সেই জায়গার নামই বা কি? বিশ্বের সবথেকে উষ্ণতম (Hottest Place in World) জায়গা হল লুৎ মরুভূমি। ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম। মরুভূমি দিক থেকে বিশ্বের ৩৪তম বৃহত্তম মরুভূমি এই লুৎ মরুভূমি। যার অবস্থান ইরানের কের্মন এবং সিস্তন ও বালুচেস্তান প্রদেশে। রিপোর্ট অনুযায়ী ২০০৩ থেকে ১০ সাল পর্যন্ত রেকর্ড তাপমাত্রা করেছিল লুৎ মরুভূমি। তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ফলস্বরূপ গাছপালা, প্রাণের অস্তিত্ব থাকা সেখানে অসম্ভব।
আরও পড়ুন ? North East Frontier Railway: বদলে যাবে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের চেহারা! দুর্দান্ত কাজ করছে রেল
এছাড়াও পৃথিবীর উষ্ণতম (Hottest Place in World) জায়গাগুলির মধ্যে আরও একটি উষ্ণতম জায়গা হল ক্যালিফোর্নিয়ার ডেথ ভ্যালি। ১৯১৩ সালে তাপমাত্রা রেকর্ড করেছিল এই উপত্যকার ফার্নেসর্নে ক্রিক নামের এক জায়গা। তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৫৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এছাড়াও প্রতিবছর ভয়ংকর গরম থাকে এই উপত্যকায়। ফলেই এখানেও প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।
তাহলে জানা হয়ে গেল বিশ্বের সব থেকে উষ্ণতম জায়গার (Hottest Place in World) নাম। যা আপনি আপনার বন্ধুদেরও জানাতে পারেন। বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা বা ইন্টারভিউয়ে এই ধরনের প্রশ্ন করা হয়। ফলেই পরবর্তী সময়ে কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা বা ইন্টারভিউয়ে এই উত্তর কাজে আসতে পারে।