নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের কোটি কোটি মানুষ প্রতিদিন রেল পরিষেবার উপর নির্ভর করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাতায়াত করেন। রেল পরিষেবার ওপর নির্ভর করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাতায়াত করলেও অনেকেই এই রেল পরিষেবা সংক্রান্ত অনেক বিষয় জানেন না। এই যেমন ধরুন দেশের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে ছোট রেলস্টেশন অনেকেই জানেন। কিন্তু দেশের কোন রেলস্টেশনটিতে এখনো ব্রিটিশ আমলের সব কিছু রয়ে গিয়েছে তা অনেকেই জানেন না।
ভারতের প্রায় ৭০৮৩ টি রেলস্টেশন রয়েছে। এই সকল রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে অনেক রেলস্টেশন আলাদা গল্প বহন করে। ঠিক সেই রকমই ব্রিটিশ আমলের সবকিছু বহন করে আলাদা গল্প বহন করছে সিঙ্গাবাদ রেলস্টেশন। এই রেলস্টেশনটি বড় কোন রেলস্টেশন না হলেও বহু পুরাতন। ব্রিটিশ আমলে তৈরি হয়েছিল এই রেলস্টেশন। তারপর ব্রিটিশরা যেভাবে এই রেজিস্ট্রেশনটি ছেড়ে গিয়েছিলেন এখনো পর্যন্ত সেই ভাবেই তা পড়ে রয়েছে।
এই রেলস্টেশনটি ভারত সীমান্ত নিকটবর্তী এই রেলস্টেশনটি পণ্যবাহী ট্রেনের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই রেলস্টেশনটি পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের শেষ রেলস্টেশন এবং এটি অবস্থিত মালদা জেলায়। মালদা জেলার হাবিবপুর এলাকায় অবস্থিত এই রেলস্টেশন থেকে পায়ে হেঁটে বাংলাদেশে যাওয়া যায়। স্বাধীনতার পর ভারত পাকিস্তান বিভক্ত হয়ে গেলে এই রেলস্টেশন জনশূন্য হয়ে পড়ে।
যদিও পরে ১৯৭৮ সালে এই রেলস্টেশনের উপর দিয়ে পণ্যবাহী ট্রেন যাতায়াত শুরু করে এবং সেগুলি বাংলাদেশ যেত। ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে পুরাতন চুক্তি নতুন করে স্বাক্ষরিত হওয়ার পর বাংলাদেশের পাশাপাশি নেপালকে এর সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই রেলস্টেশনটি বহু পুরাতন হওয়ার কারণে পরাধীন ভারতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু থেকে শুরু করে মহাত্মা গান্ধী বাংলাদেশ যাওয়ার সময় বহুবার ব্যবহার করেছেন। পাশাপাশি একসময় এই রেলস্টেশনে দার্জিলিং মেলের মত ট্রেন দাঁড়াতো।
এই রেল স্টেশনে এখনো পর্যন্ত কার্ডবোর্ডের টিকিট রাখা রয়েছে। যে টিকিট এখন কোথাও ব্যবহার করা হয় না। এছাড়াও এখানেই যে টেলিফোনটি রয়েছে সেটি বাবা আদমের আমলের। একইভাবে সিগন্যালের জন্য ব্যবহার করা হয় ব্রিটিশ আমলের হ্যান্ডগিয়ার। এই রেলস্টেশনের উপর দিয়ে দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন যাতায়াত করলেও তা স্টপেজ দেয় না।