Driest Village in World: মরুভূমি নয়, তাও বৃষ্টির দেখা মিলে না এই গ্রামে

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

It is not a desert but it does not rain a drop in this village: মরুভূমি মানেই ধূ ধূ প্রান্তর তা সে সাহারা মরুভূমি হোক কিংবা কালাহারি অথবা থর। মরুভূমি অঞ্চলে সাধারণত বৃষ্টি খুবই কম হয়। মানুষ জানেনা এমন বহু অজানা তথ্য রয়েছে। যেমন পৃথিবীতে এমন একটি গ্রাম (Driest Village in World) আছে যেখানে বছরের বেশিরভাগ সময়ই বৃষ্টি হয়না। ওই গ্রামের আকাশে মেঘের আনাগোনা কখনই চোখে পড়েনা। ফলে ওখানকার অধিবাসীদের শুধু চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করতে হয়।

Advertisements

স্বাভাবিকভাবেই মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কোথায় অবস্থিত এই অদ্ভুত দেশ? পশ্চিম এশিয়ার দেশ ইয়েমেনের রাজধানী সানায় রয়েছে এক অদ্ভুত গ্রাম(Driest Village in World)। গ্রামের নাম হলো আল-হুতেইব। ভাবলেই অবাক লাগে কিভাবে বাস করে ওখানকার মানুষ। বছরের পর বছর কিভাবে বৃষ্টিহীন জীবন যাপন করছে ওখানকার মানুষ? কারণ জানলে আপনি অবাক না হয়ে পারবেন না, মরু এলাকা না হওয়া সত্বেও কেনো এই পরিস্থিতি?

Advertisements

এই গ্রামটি অবস্থিত ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩ হাজার ২০০ মিটার উচ্চতায়। গ্রামটির মধ্যে রয়েছে লাল বালিপাথরের পাহাড়, যেখানে মানুষজন ওই পাহাড়ের মাথায় বাড়ি তৈরি করে থাকেন। তবে আল-হুতেইবের (Driest Village in World) জনসংখ্যা নিতান্তই কম। এই বিষয়ে কি বলছেন গবেষকরা? তারা দাবি করেছেন, গ্রামটি ভূপৃষ্ঠ থেকে অনেক বেশি উচ্চতায় থাকার জন্যই সেখানে বৃষ্টির পরিমাণ এত কম। আসলে আকাশে মেঘ যে উচ্চতায় জমে গ্রামটি তার থেকেও বেশি উঁচুতে রয়েছে। সেইজন্য আবহাওয়া এত রুক্ষ এবং শুষ্ক, আর সেই কারণেই এখানে দিনের বেলার তাপমাত্রা খুব বেশি। রাতে তাপমাত্রা কমলেও দিনে আবার সেই এক অবস্থা।

Advertisements

ইয়েমেনের এই গ্রামে (Driest Village in World)বাস করে আল-বোহরা নামের প্রাচীন এক জনজাতি। তারা মূলত পাহাড়ের কোলে পাথর কেটে কেটে বাড়ি তৈরি করে থাকে। এই গ্রামটিতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অপরূপ আর তার টানেই বহু পর্যটকদের ভিড় জমে এখানে। আপনারা ছোটবেলায় পড়েছেন মেঘ কিভাবে সৃষ্টি হয়? পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে থাকা জলীয় বাষ্প ঘনীভূত সৃষ্টি হয় মেঘের। যখন জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়তে থাকে তখন মেঘ ভারী হয়ে তা বৃষ্টির আকারে মাটিতে নেমে আসে।

আল-হুতেইব এর উচ্চতা ৩২০০ মিটার আর ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় দু’হাজার মিটার উচ্চতায় মেঘ জমে তাই বৃষ্টির সম্ভাবনা একেবারেই নেই এই গ্রামে। জানেন কি এই গ্রামের সঙ্গে ভারতের মুম্বইয়ের এক নিবিড় যোগ রয়েছে? মহম্মদ বুরহানউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি মৃত্যুর আগে পর্যন্ত প্রতি তিন বছর অন্তর ইয়েমেনের ওই গ্রামে যেতেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ধর্ম প্রচার করা। তিনি পরে ২০১৪ সালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

Advertisements