প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) সঙ্গে তাঁর মিল অনেক। দুজনেরই পদবি মোদি। দুজনেই ছিলেন চা-ওয়ালা। প্রথম জন দেশের প্রধানমন্ত্রী। আর দ্বিতীয়জন পূর্ণেশ মোদি (Purnesh Modi) তাঁরই দল বিজেপির (BJP) একনিষ্ঠ সদস্য। এই পূর্ণেশই বিপাকে ফেলেছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi)। জানেন কি কে এই পূর্নেশ? যার জন্য রাহুলের পরিস্থিতি হলো করুন।
এক সময় পূর্ণেশ বিজেপির বুথ কনেভেনার ছিলেন। হয়েছিলেন ওয়ার্ড প্রমুখও। সুরাট মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের বিজেপি কর্পোরেটরও ছিলেন। ছিলেন বিজেপির স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান। ২০১০ সাল থেকে পর পর দুটো টার্ম বিজেপির সুরাট ইউনিটের প্রধানও ছিলেন তিনি। নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে পূর্ণেশ নিজেকে গুজরাটের প্রাক্তন মন্ত্রী বলে পরিচয় দিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, ১৯৬৫ সালের ২২ অক্টোবর সুরাটে জন্মগ্রহণ করেছিলেন পূর্ণেশ (Purnesh Modi)। সুরাট পশ্চিমের বিধায়ক তিনি। দারিদ্রের কারণে এক সময় তিনি চা বিক্রি করতেন। করেছেন দিন মজুরির কাজও। বি.কমের পাশাপাশি এলএলবিও পাশ করেছিলেন পূর্ণেশ। পেশায় আইনজীবী এই বিধায়ক এক সময় গুজরাট সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। ২০১৩ সালে বিজেপি বিধায়ক কিশোর ভাই মারা যান। বিজেপি টিকিট দেয় পূর্ণেশকে। জয়ী হন তিনি। ২০১৭ সালে রেকর্ড ভোটে জিতে ফের বিধানসভায় পা রাখেন তিনি।
উনিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্নাটকের এক জনসভায় রাহুল বলেছিলেন, সব চোরের পদবি নাকি মোদি হয়। রাহুলের বক্তব্য নিয়ে হইচই হয় বিস্তর। তারপর রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন পূর্ণেশ (Purnesh Modi)। শুনানির পরে রাহুলকে দু বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় সুরাট আদালত। সঙ্গে করা হয় জরিমানাও। তবে ৩০ দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতে আবেদন করার সুযোগও দেওয়া হয় রাহুলকে।
এদিকে, দু বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ায় খারিজ হয়ে যায় রাহুলের সাংসদ পদ। আর এই দু বছরের কারাদণ্ডের জেরে রাহুলকে খোয়াতে হয়েছে সাংসদ পদ। সেই সঙ্গে আগামী আট বছর কোনও নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না রাহুল।