This new scheme of Central Govt is giving 3000 rupees per month: ২০২১ সালে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে শুধুমাত্র নারীদের জন্য একটি প্রকল্প চালু করা হয়। প্রকল্পটির নাম লক্ষ্মীর ভান্ডার। ২০২১ সালে এই প্রকল্প চালু করেন স্বয়ং পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য জুড়ে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি প্রকল্প লক্ষীর ভান্ডার। লক্ষীর ভান্ডারের আওতাধীন পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত মহিলারা প্রতিমাসে নির্দিষ্ট অর্থ ভাতা হিসেবে পেয়ে থাকেন রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। সম্প্রতি লক্ষ্মীর ভান্ডারকে টেক্কা দিতেই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে নতুন একটি প্রকল্প (New Scheme Of Central Govt)।
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের তরফ থেকে চালু করা লক্ষ্মীর ভান্ডার স্কিমটি শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে বৈধ হলেও, এর জনপ্রিয়তা রয়েছে সারাদেশ জুড়ে। তাই এবার খানিকটা সেই প্রকল্পকে টেক্কা দিতেই কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে নতুন একটি প্রকল্পের (New Scheme Of Central Govt) ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্য সরকার যেমন রাজ্যবাসীর সুবিধার কথা ভেবে একাধিক প্রকল্প চালু করে থাকেন, তেমনি কেন্দ্রীয় সরকারও দেশবাসীর কথা ভেবে তাদের সুবিধার্থে একাধিক প্রকল্প চালু করেন। নতুন স্কিমটিও তারই অন্যতম। নতুন এই প্রকল্পের নাম কি? কিভাবে করবেন আবেদন? কিভাবে পাবেন সুযোগ সুবিধা? সব কিছু নিয়ে বিস্তারিত তথ্য রইল আজকের প্রতিবেদনে।
রাজ্য সরকার রাজ্যের সমস্ত নারীদের জন্য চালু করেছে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প। এবার কেন্দ্রীয় সরকার দেশের সমস্ত কৃষকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী কিষান মানধন যোজনা (New Scheme Of Central Govt) শুরু করেছেন। ষাটোর্দ্ধ কৃষকরা এই প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। মূলত এই প্রকল্পের মাধ্যমে পেনশনের মতন প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা করে দেওয়া হবে কৃষকদের। চাকুরীজীবীদের বার্ধক্যকে সুরক্ষিত করতে যেমন পেনশন প্রক্রিয়া চালু রয়েছে তেমনি কৃষকদের বার্ধক্যকেও সুরক্ষিত করতে এই ভাতা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। নূন্যতম ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী যে কোন কৃষক এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারেন। তার ৬০ বছর বয়স হবার পর তিনি প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা করে পাবেন সরকারের পক্ষ থেকে। কোন কৃষক যদি মারা যায় তাহলে তার স্ত্রী নির্ধারিত অর্থের ৫০ শতাংশ অর্থ পাবে প্রতি মাসে।
প্রধানমন্ত্রী কিষাণ মানধন যোজনার (New Scheme Of Central Govt) সুযোগ নিতে চাইলে প্রথমে একটি পেনশন অ্যাকাউন্ট সাবস্ক্রাইব করতে হবে। এই অ্যাকাউন্টে সঞ্চিত অর্থ জীবন বীমা কর্পোরেশনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট তহবিলে সঞ্চয় করবে কেন্দ্রীয় সরকার। ৬০ বছর বয়স হবার পর এই টাকা পেনশন আকারে পাবেন কৃষকরা। এখনো পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন এই প্রকল্পটিতে আবেদন করেছেন কমবেশি ১৯ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৫৮ জন কৃষক। কৃষকদের জন্য নির্ধারিত কমন সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে আধার কার্ড এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ডিটেলস জমা করতে হবে গ্রাহককে। নির্দিষ্ট ব্যক্তির দেওয়া তথ্য যেমন নাম, বয়স, ব্যাংকের বিবরণ সমস্ত কিছু সঠিক কিনা তা যাচাই করে নেবে কর্তৃপক্ষ।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে চালু করা এই নতুন প্রকল্পটিতে (New Scheme Of Central Govt) আপনি চাইলে অনলাইনেও আবেদন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে গ্রাম পর্যায়ের অফিসে গিয়ে অনলাইনে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে হবে কৃষকদের। এরপর ব্যাংকের বিবরণ, মোবাইল নম্বর, বয়স, নাম ইত্যাদি তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে আবেদন পত্রটি। আবেদন করার সময় গ্রাহকের বয়স কত ছিল তার উপর ভিত্তি করে পেনশন হিসেবে প্রদত্ত অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে। প্রথমে গ্রাহকরা যে পেনশন অ্যাকাউন্টটিকে সাবস্ক্রাইব করেছিলেন তার জন্য নগদে টাকা দেওয়া হবে কৃষকদের। এরপর কৃষকরা অটো ডেবিট হ্যান্ডেড ফ্রম প্রিন্ট আউট করে নেবেন অনলাইন থেকেই। এরপর থেকে ৬০ বছর বয়সের পর নির্দিষ্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতে থাকবে কৃষকদের।
