This railway workshop of West Bengal got the big responsibility of Amrita Bharat Project: চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার নাম আবারও একবার শিরোনামে উঠে আসতে চলেছে। ভারতের অন্যতম দ্রুত রেল যাত্রার সঙ্গে জড়িত হতে চলেছে এই কারখানাটির নাম। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ভারতের অন্যতম দ্রুতগতির ট্রেন ‘অমৃত ভারত’ এর জন্য ইঞ্জিন (Amrita Bharat Project) তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে বাংলার চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানাকে। সূত্র মারফত জানা গেছে যে, যেসব ইঞ্জিনগুলোর বরাত পাওয়া গেছে তা চলতি অর্থ বর্ষের মধ্যেই তুলে দিতে হবে রেলমন্ত্রকের হাতে। ইঞ্জিন তৈরির প্রাথমিক কাজ এর মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।
বাংলার চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার কর্তৃপক্ষের দাবি যে, ‘অমৃত ভারত’ ট্রেনের ইঞ্জিন তৈরির (Amrita Bharat Project) বরাত পাওয়া এই সংস্থার পক্ষে সত্যি গর্বের ব্যাপার। সংস্থার শ্রমিক সংগঠনগুলিও এই বরাত পাওয়ার জন্য যথেষ্ট পরিমাণে খুশি। রেলমন্ত্রকের কাছ থেকে পাওয়া এই কাজের জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত এবং দক্ষ কর্মীর। তাই বর্তমানে একান্ত কর্মী নিয়োগ প্রয়োজন।
অমৃত ভারত ট্রেন বন্দে ভারত ট্রেনের চেয়ে অপেক্ষাকৃত কম স্বাচ্ছন্দ্যযুক্ত, তবে দ্রুত গতিসম্পন্ন। রেল মন্ত্রক এর এই উদ্যোগ সত্যি অনস্বীকার্য। এই ট্রেনে যেসব ইঞ্জিন (Amrita Bharat Project) ব্যবহার করা হবে, তার সবই তৈরি হবে চিত্তরঞ্জন রেল কারখানাতে। কারখানার সিনিয়র ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রমোদ ক্ষেত্রী বলেন, আপাতত চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা ১০০ টি ইঞ্জিন তৈরি করার বরাত পেয়েছে। সেইমতো প্রাথমিক কাজও শুরু হয়ে গেছে বহুদিন আগে। তাঁর দাবি, বন্দে ভারত ট্রেনের ইঞ্জিনে যে কারিগরি কৌশল রয়েছে, তার সবই এই ইঞ্জিনগুলিতে থাকবে।
ইঞ্জিনগুলি হলো ১০ হাজার অশ্বশক্তি ক্ষমতাসম্পন্ন। ট্রেনের সামনে এবং পেছনে থাকবে মোট দুটি ইঞ্জিন। সূত্র মারফত জানা যায় যে, ইঞ্জিন দুটি এতটাই ক্ষমতা সম্পন্ন যে একই সঙ্গে দুটো ইঞ্জিনকে চালক পরিচালনা করতে পারবে। এই ইঞ্জিন দ্রুত গতি বাড়াতে পারবে, আবার দ্রুত থামতেও পারবে। আশা করা যাচ্ছে যে, চলতি অর্থবর্ষে প্রায় ৭০০টি ইঞ্জিন তৈরির লক্ষ্য পূরণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তার মধ্যে ১০০টি অমৃত ভারতের ইঞ্জিন (Amrita Bharat Project)। অমৃত ভারতের ইঞ্জিন তৈরি করার বরাত পাওয়া এই কারখানার পক্ষে সত্যি গর্বের বিষয়।
কারখানার এহেন উন্নতিতে খুশি কারখানার সমস্ত কর্মীরাও। তবে সমস্যা একটাই এত বিপুল সংখ্যক ইঞ্জিন তৈরি করতে দরকার প্রচুর শ্রমিক এবং সেই শ্রমিক নিয়োগের জন্যই দাবি তোলা হচ্ছে। সিটু অনুমোদিত সংস্থার লেবার ইউনিয়নের সম্পাদক রাজীব গুপ্ত বলেন, প্রত্যেক বছর ইঞ্জিন তৈরির বরাত পাওয়া বৃদ্ধি পাচ্ছে। শ্রমিকরাও দিন রাত এক করে লক্ষ্য পূরণের পথে এগিয়ে চলেছে। অবিলম্বে প্রচুর সংখ্যক শ্রমিক নিয়োগের প্রয়োজন। এই শূন্য পদ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পূরণ করা উচিত। আইএনটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক বক্তব্য প্রকাশ করেছেন যে, এর আগেও এই কারখানা থেকে প্রচুর দ্রুতগতির সম্পন্ন ইঞ্জিন তৈরি করা হয়েছে। অমৃত ভারতের ইঞ্জিন তৈরির বরাত পাওয়া সত্যিই খুশির ব্যাপার। তবে শ্রমিক-কর্মীদের চাকরির নিরাপত্তা নিয়ে কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগী হতে হবে।