This time West Bengal Police will go to duty of vote in other states: ২০২৪ এর লোকসভা ভোটের ডেট ঘোষণা হয়ে গেছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হতে চলেছে খুব শীঘ্রই। এই ভোট উপলক্ষে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে পশ্চিমবঙ্গে কর্মরত পুলিশদের (West Bengal Police) নিয়ে যাওয়া হবে ভিন্ন রাজ্যে। ভোট সুস্থ ভাবে পরিচালনা করার জন্য। পশ্চিমবঙ্গের মোট ১৫ কোম্পানি সশস্ত্র বাহিনীকে এই কাজে ব্যবহার করা হবে অন্য রাজ্যে। সেই মতো বাহিনীদের তৈরি থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফ থেকে। কোথা থেকে, কত সংখ্যক পুলিশ নেওয়া হবে তার হিসাবও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই।
বাংলা থেকে নেওয়া ১৫ কোম্পানি সেনাবাহিনীর (West Bengal Police) মধ্যে, ২ কোম্পানি সেনাবাহিনী থাকবে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে। আর বাকি সেনাবাহিনী নেওয়া হবে ব্যারাকপুর, দুর্গাপুর সহ নানা জায়গা থেকে। ৮৬ জন করে পুলিশ কর্মী নিয়ে এক একটি বাহিনী বা এক একটি কোম্পানি তৈরি হবে বলে জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী বাংলা থেকে এই পুলিশ বাহিনীকে (West Bengal Police) অন্য রাজ্যে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। লোকসভা ভোট সংক্রান্ত কোনো বিভ্রাট চাইছে না নির্বাচন কমিশন। তার জন্য প্রতিরক্ষার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই ভোট সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। পুলিশ কর্মীদের স্থানান্তরিত করা তার মধ্যে অন্যতম।
লোকসভা ভোটের মধ্যে দিয়ে সারাদেশ একসাথে গণতন্ত্র উৎসবে শামিল হতে চলেছে খুব শীঘ্রই। ১৯ এপ্রিল থেকে ১ লা জুন অব্দি মোট ৭ দফায় ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে সারা দেশ জুড়ে। ৪ ঠা জুন লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। ভোট গ্রহণের দিন থেকে শুরু করে গণনার দিন অব্দি এই পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কোন কমতি রাখতে চাইছে না নির্বাচন কমিশন। আসন্ন লোকসভা ভোটের ডেট ঘোষণার দিন নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার নিজেদের অবস্থান খুব স্পষ্ট ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশন এইবারের লোকসভা ভোট সুষ্ঠুভাবে ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর হয়ে উঠেছে।
আসন্ন ভোটের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের প্রতি বাড়তি নজর দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যবাসীর মনে আস্থা রাখতে ভোটের দিন ঘোষণার বহু আগে থেকেই প্রায় ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় সেনাবাহিনীর মোতায়েন করা হয়েছে এই রাজ্যে। এত কিছুর পরেও কতটা সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ কাজটা সম্পন্ন করতে পারে নির্বাচন কমিশন সেটাই দেখার।