নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয়দের কাছে গণপরিবহনের লাইফ লাইন হল ট্রেন। এই রেল পরিষেবার উপর নির্ভর করে প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করেন। দেশের গণপরিবহনের মেরুদন্ড রেল পরিষেবা সম্পর্কে অনেক কিছুই আমরা জানি, আবার অনেক কিছুই জানি না।
ভারতের রেল নেটওয়ার্ক হলো বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক। উনিশ শতকে ভারতে এই রেল পরিষেবা চালু হয়। ব্রিটিশদের হাত ধরেই রেল পরিষেবা চালু হয়েছিল ভারতে। ১৮৬ বছর আগে ভারতে প্রথম ট্রেন চলাচল শুরু করে। দেশজুড়ে বর্তমানে প্রায় ১,১৫,০০০ কিমি রেল পথ তৈরি হয়েছে। রেল পরিষেবা সুগম করে তোলার জন্য ৭৩৪৯ টি স্টেশন রয়েছে।
এই বিপুলসংখ্যক স্টেশন থেকে প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার যাত্রীবাহী ট্রেন এবং ৭ হাজার পন্যবাহী ট্রেন যাতায়াত করে। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতের এই রেল পরিষেবাকে আরও সাজিয়ে গুছিয়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। যে কারণে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পুরাতন বহু ট্রেন তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে এই সকল ট্রেনের মধ্যে একটি ট্রেন এখনো পর্যন্ত ১১০ বছর ধরে সমানতালে পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছে।
১৯১২ সালে যাত্রা শুরু করা ওই ট্রেনটি হল পাঞ্জাব মেল। যাত্রা শুরু করার পর থেকে এখনো পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্নভাবে এই ট্রেনটি তার পরিষেবা বজায় রেখেছে। কেবলমাত্র করোনাকালে এই ট্রেনটি দীর্ঘদিন ধরে বসেছিল। তবে করোনা পরবর্তীতে পুনরায় রেল পরিষেবার স্বাভাবিক হলে এই ট্রেনটি ফের নিজের পথে ছুটতে শুরু করে।
ব্রিটিশ আমলে এই ট্রেনটি পথচলা শুরু করেছিল মুম্বাই থেকে বর্তমান পাকিস্তানের পেশোয়ার পর্যন্ত। সেই সময় কেবলমাত্র ব্রিটিশদের ট্রেনে চড়ার অনুমতি থাকলেও পরবর্তীতে ১৯৩০ সালে সাধারণ মানুষ ট্রেনে চড়ার অনুমতি পায়। তবে দেশভাগের পর এই ট্রেনটি পুরাতন রুটে ছোটা বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে এই ট্রেনটি মুম্বাই থেকে ফিরোজপুর পর্যন্ত যাতায়াত করে। একসময় এই ট্রেনটি কয়লা ইঞ্জিনের দ্বারা চললেও বর্তমানে অত্যাধুনিক ইঞ্জিনে ট্রেনটি ঝাঁ চকচকে হয়ে উঠেছে। প্রথমদিকে এই ট্রেনটি মুম্বাই থেকে পেশোয়ার পর্যন্ত ২৫০০ কিলোমিটার রাস্তা ৪৭ ঘন্টায় পার করতো।