মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক ফের বাতিল হলে কোন পথে মূল্যায়ণ, জানালো পর্ষদ

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনার নতুন স্ট্রেন ভিড়ে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে নতুন করে আতঙ্ক। এমত অবস্থায় নতুন করে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে, ফের স্কুল কলেজ পঠন পাঠন বন্ধ হয়ে যাবে না তো? এমত অবস্থায় আবার আরও বেশি আশঙ্কা তৈরি করছে রাজ্যের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের। কারণ বছর পেরোলেই এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা এবং ইতিমধ্যেই এই দুটি পরীক্ষার সূচি ঘোষিত হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে ফের যদি সংক্রমণ বৃদ্ধি পায় তাহলে স্বাভাবিকভাবেই বাতিল হতে পারে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। পরীক্ষা দুটি বাতিল হলে কোন পথে হবে এর মূল্যায়ণ, এনিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এই প্রশ্ন যেমন সাধারণ মানুষ, পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে ঠিক তেমনই বিকল্প পথ নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে পর্ষদ বলে সূত্রের খবর।

যদি আগামী বছর ফের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বাতিল করতে হয় সেক্ষেত্রে পর্ষদ যে চিন্তাভাবনা করছে, তা থেকে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, টেস্ট পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে মূল্যায়ণ করা হতে পারে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। তবে পর্ষদের প্রথম লক্ষ্য হলো পরীক্ষা নেওয়া। নিতান্তই পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হলে তখন বিকল্প পথ হিসেবে ‘প্ল্যান বি’ অর্থাৎ এই টেস্ট পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে মূল্যায়ণ করা হতে পারে।

চলতি নভেম্বর মাসেই পর্ষদের তরফ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সূচি ঘোষণা করা হয়। সূচি অনুযায়ী আগামী বছর ৭ মার্চ থেকে শুরু হবে মাধ্যমিক পরীক্ষা, যা চলবে ১৬ মার্চ পর্যন্ত। অন্যদিকে ২ এপ্রিল থেকে শুরু হবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং তা চলবে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত। পরীক্ষার সূচি ঘোষণা এবং পুনরায় স্কুল-কলেজের দরজা খোলার পর নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি আমজনতাকে স্বাভাবিকভাবেই ভীত করে তুলেছে।

তবে এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, করোনার বাড়বাড়ন্ত না হলে সাধারণ সময়ের মতো খাতায় কলমে পরীক্ষা হবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। পাশাপাশি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হলে বিকল্প পথ হিসেবে যে পথ পর্ষদ বেছে নিতে পারে তাতে টেস্ট পরীক্ষা পরীক্ষার্থীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং আগামী চিন্তাভাবনা করে টেস্ট পরীক্ষাকে মূল পরীক্ষা হিসাবে ভেবে দেওয়াটাই সঠিক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।