G20 সামিটে মোদির হাতে এই ৩ বড় আর্থিক সুবিধা! হাত কামড়াচ্ছে চিন

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : এবার G20 সামিট হল দিল্লিতে। এখনো পর্যন্ত যে সকল বৈঠক হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম সফল বৈঠক হিসাবে নয়া দিল্লির G20 সামিটকে ধরা হচ্ছে। এই বৈঠকে যে সকল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেই সকল সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের (India) হাতে একাধিক সুবিধা এসেছে। এই সকল সুবিধা যেমন ভারত এবং ভারতীয়দের কাছে সুখবর, ঠিক সেই রকমই এমন সব সুবিধার ফলে রীতিমতো হাত কামড়াতে হচ্ছে চীনকে (China)। দিল্লির এই G20 সামিটের জন্য দেশের খ্যাতিসম্পন্ন মানুষেরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) কৃতিত্ব দিয়েছেন।

এবারের G20 সামিটে যে সকল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে বড় তিনটি সিদ্ধান্ত ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি বিশ্বের তাবড় তাবড় রাষ্ট্রনেতারা যেভাবে এই সম্মেলনে হাজির হন তাও বিশ্বকে ভারতের ঐতিহ্য তুলে ধরে। অতিথিরা যাতে কোনভাবেই অসম্মানিত না হন তার জন্য ভারত সরকারের তরফ থেকে যে সকল আয়োজন করা হয়েছিল তাও সন্তুষ্ট করে রাষ্ট্র নেতাদের।

১) G20 সামিটের প্রথম দিনেই ভারত, সৌদি আরব এবং ইউরোপের মধ্যে কানেক্টিভিটি করিডোর তৈরি করার ঘোষণা করা হয়েছে। এই করিডর তৈরি করার ফলে ইনফ্রা চুক্তি শিপিংয়ের সময় এবং খরচ কমিয়ে দেবে। ফলে ব্যবসা হবে অনেক সস্তা। বিশেষজ্ঞরা এই করিডোর চীন এবং পাকিস্তানের ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড প্রজেক্টের পালটা হিসাবে ধরছেন। এই করিডরের উদ্দেশ্য হলো, ইউএই, সৌদি আরব, জর্ডান এবং ইসরায়েল হয়ে ভারত থেকে ইউরোপে বিস্তৃত রেলপথ এবং বন্দর কানেকশনগুলিকে একীভূত করা। এর ফলে ব্যবসার গতি পাবে ৪০ শতাংশ বেশি আর চীনের বিআরআই প্রজেক্টকে বড় ধাক্কা দিতে পারে।

২) সম্মেলনের দ্বিতীয় বড় সিদ্ধান্ত হল গ্লোবাল বায়োফুয়েল অ্যালায়েন্স। এর উদ্দেশ্য হল টেকসই জৈব জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করা। জৈব জ্বালানি হল উদ্ভিদ, শস্য, শ্যাওলা, খাদ্য বর্জ্য, মায়োসাস থেকে বের করা হয়। এতে কার্বনের পরিমাণ কম থাকার ফলে পরিবেশ দূষণের মাত্রা অনেক কমে। এর ফলে প্রচলিত পেট্রোল এবং ডিজেলের মতো জ্বালানির উপর থেকে নির্ভরশীলতা অনেক কমবে।

৩) এই সম্মেলনের প্রথম দিনেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র আফ্রিকান ইউনিয়নকে মোদী G 20 এর স্থায়ী পদ দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেন। এই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বৈঠকে উপস্থিত অন্যান্য দেশগুলি সম্মতি দিলে তা পাশ হয়ে যায়। এটি চীনের জন্য কপাল পোড়া বলা যেতে পারে। কেননা আফ্রিকা মহাদেশের চীনের প্রভাব দিন দিন বাড়ছে আর সেই প্রভাবের উপর এবার খাড়া হয়ে দাঁড়াবে ভারতের বাণিজ্য।