নিজস্ব প্রতিবেদন : এর থেকে মর্মান্তিক আর কিছু হতে পারে বলে জানা নেই। চার সদস্যের মধ্যে তিন সদস্যের প্রাণ কেড়ে নিলো করোনা। সুখের সংসার তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেল করোনার এক ঝড়ে। আর এমন ঘটনার খবর জানাজানি হতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়, জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন অনেকেই। তবে এখনও সময় আছে সর্তকতা অবলম্বন করার, সময় আছে নিজেকে এবং পরিবারকে সুস্থ রাখার।
মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে সিউড়ির নিউ ডাঙ্গালপাড়ার এক পরিবারের ক্ষেত্রে। যে পরিবারের চার সদস্যের মধ্যে বর্তমানে জীবিত রয়েছেন কেবলমাত্র মেয়ে। বাকি বাবা-মা ও ছেলে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। মৃতরা হলেন রামদাস সিংহ (৬৯), দীপ্তি সিংহ (৬০) এবং রাজদীপ সিংহ (২৮)।
রামদাস সিংহ ছিলেন একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। অন্যদিকে রাজদীপ ছিলেন যাদবপুর ইউনিভার্সিটির গবেষকের ছাত্র। মা ছিলেন গৃহবধূ। পরিবারের জীবিত একমাত্র সদস্য সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের আংশিক সময়ের অধ্যাপিকা।
জানা গিয়েছে, দু’সপ্তাহ আগে প্রথম দীপ্তি সিংহের জ্বর আসে। তারপর তার করোনা পরীক্ষা করা হলে তিনি পজেটিভ, এমনটাই ফলাফলে জানা যায়। প্রাথমিকভাবে তাকে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ক্রমাগত তার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে তাকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের কোভিড কেয়ার ইউনিটে পাঠানো হয় এবং সেখানে আইসিইউতে রাখা হয়।
ইতিমধ্যেই ওই পরিবারের অন্যান্য ৩ সদস্যও করোনা আক্রান্ত হন এবং তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রত্যেকটি রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। এরপরই গত ১৩ মে প্রথম প্রাণ হারান দীপ্তি দেবী। পরবর্তীতে চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার প্রাণ হারান রামদাস বাবু এবং শুক্রবার প্রাণ হারান রাজদীপ। মৃত তিনজনেরই ফুসফুসে সংক্রমণের পরিমাণ বহুলাংশে বেড়ে যাওয়ায় অক্সিজেনের মাত্রা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র মারফৎ।
[aaroporuntag]
যদিও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে বর্তমানে রাজদীপের দিদি অনেকটাই সুস্থ আছেন। তবে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মৃত্যুর খবর তার কাছে ইতিমধ্যে পৌঁছে গেছে এবং তিনি বর্তমানে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।