লাল্টু : গত বিধানসভা নির্বাচনে বীরভূম জেলার ১১টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১০টিতে জয় পেয়েছে শাসকদল তৃণমূল। কেবলমাত্র একটি বিধানসভা কেন্দ্র দুবরাজপুর যেখানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে বিরোধী দল বিজেপি। আর এই কেন্দ্রে পরাজয়ের কারণে সরতে হলো তিন পঞ্চায়েত প্রধানকে।
হেতমপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহঃ জসিমউদ্দিন, বালিজুড়ির মুনমুন ঘোষ, গোয়ালিয়ারা পঞ্চায়েতের চম্পা দাস পঞ্চায়েত প্রধানের পদ থেকে সরে যাওয়ার জন্য দুবরাজপুর ব্লক অফিসে BDO এর কাছে ইস্তফা পত্র জমা দিলেন। ইস্তফাপত্র তারা তাদের ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করেছেন।
কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর জেলা সভাপতি দুবরাজপুর রবীন্দ্রসদনে দলীয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, দুবরাজপুর বিধানসভায় অন্তর্গত লোবা, বালিজুড়ি, গোয়ালিয়ারা এবং হেতমপুর, পদুমা পঞ্চায়েতের প্রধান সহ বেশ কিছু নেতৃত্বের রদবদল করা হবে। সেই মতো রদবদলও হয়েছে।
ইস্তফা পত্র জমা দেওয়ার পর ওই প্রধানরা জানিয়েছেন, দলীয় নির্দেশেই তারা আজ তাদের ইস্তফা পত্র জমা দিলেন। তাদের বক্তব্য, দলই প্রধান করেছিল, এখন পদত্যাগপত্র জমা দিতে বলেছে তাই জমা দিলাম। অন্যদিকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ভোলানাথ মিত্র জানিয়েছেন, “জেলা সভাপতির নির্দেশে এই ইস্তফা। জেলা সভাপতির নির্দেশ দিয়েছিলেন যে সকল অঞ্চলগুলি হেরে ছিল সেই অঞ্চলগুলির প্রধানদের ইস্তফা দিতে। তার জন্যই ওরা রিজাইন দিয়েছে।”
এই প্রসঙ্গে দুবরাজপুর বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা জানিয়েছেন, “পঞ্চায়েত ভোট না করিয়েই তৃণমূল এদের প্রধান করেছিলেন। আজ তাদের সরিয়ে আবার অন্য কাউকে বসিয়ে পঞ্চায়েত পরিচালনা করার কাজ চালাবে। আর এই সকল কারণে দুর্নীতির পাহাড় হয়ে গেছে। সুতরাং যতই মানুষ পরিবর্তন করুক না কেন এই দলটা যে দুর্নীতিবাজ তা জানতে কারোর বাকি নেই।”