নিজস্ব প্রতিবেদন : সেমিকন্ডাক্টার (Semiconductor), যাকে আমরা চলতি ভাষায় বলে থাকি চিপ, সেই সেক্টরে এতদিন সবচেয়ে বড় বাজার দখল করে থাকা দেশটির নাম হলো চীন (China)। এই সেক্টরে চীন রীতিমতো বিশ্বে দাদাগিরি দেখিয়ে আসছে বছরের পর বছর ধরে। কিন্তু এবার তাদের রাতের ঘুম উড়িয়ে ভারত সরকারের তরফ থেকে বড় পদক্ষেপ নেওয়া হল।
সেমিকন্ডাক্টার বা চিপ এমন একটি প্রয়োজনীয় জিনিস যা যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট তৈরীর ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়ে থাকে। বলা যেতে পারে এই জিনিসটি ছাড়া ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট তৈরি করা সম্ভব নয়। যে কারণে ছোট্ট এই জিনিসটির উপর বহু দেশ এবং সংস্থা চীনের উপর নির্ভরশীল। তবে এবার ভারত সরকারের তরফ থেকে যাতে দেশের মাটিতেই সেমিকন্ডাক্টর তৈরি করা যায় তার জন্য তিনটি চিপ তৈরির কারখানার অনুমোদন দেওয়া হল।
ভারতেই যাতে সেমিকন্ডাক্টর (Semiconductor Factory in India) তৈরি করা যায় তার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই জোর দেওয়া হচ্ছিল কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে। অবশেষে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা এই বিষয়ে অনুমোদন দিয়ে দিচ্ছে। অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিনটি কারখানা তৈরি হবে ভারতে। যার মধ্যে দুটি তৈরি করবে টাটা গোষ্ঠী (Tata Group)। তিনটি কারখানার মধ্যে দুটি তৈরি হবে গুজরাতে এবং একটি আসামে। টাটা ইলেকট্রনিক্স ছাড়াও সিজি পাওয়ার যৌথ উদ্যোগে একটি কারখানা তৈরি করতে চলেছে।
টাটাদের জয়েন্ট ভেঞ্চার দেশে প্রথম সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব্রিকেশন প্ল্যান্ট তৈরি করতে চলেছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ধলেরায় মাইক্ৰনের সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট তৈরি করার পর এই নতুন প্ল্যান্ট তৈরি করা হবে। ধলেরায় মার্কিন সেমিকন্ডাক্টর সংস্থা মাইক্রন ২২ হাজার ৫১৬ কোটি টাকায় একটি চিপ অ্যাসেম্বলি প্ল্যান্ট তৈরি করছে। অন্যদিকে টাটা গোষ্ঠী এবং তাইওয়ানের পাওয়ার চিপ সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কর্পোরেশন যৌথ উদ্যোগে ৯১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ধলেরায় চিপ ফাব্রিকেশন প্ল্যান্ট তৈরি করবে।
অন্যদিকে আসামের মরিগাঁওতে ২৭ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের পরিপ্রেক্ষিতে অন্য একটি চিপ তৈরির কারখানা তৈরি করছে টাটা ইলেকট্রনিক্স। এই কারখানায় প্রতিদিন ৪.৮ কোটি চিপ তৈরি করা সম্ভব হবে। এছাড়াও সিজি পাওয়ার জাপানের রেনেসাঁস ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন এবং থাইল্যান্ডের ষ্টার মাইক্রো ইলেকট্রনিক্সের সহযোগিতায় গুজরাটের সানন্দে আরও একটি কারখানা করতে চলেছে। এই কারখানা তৈরি করার জন্য ৭৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে। এখানে প্রতিদিন ১.৫ কোটি চিপ তৈরি করা যাবে।