নিজস্ব প্রতিবেদন : ঘুমের সমস্যা রয়েছে এমন মানুষের বর্তমানে অভাব নেই। অনেকেই আছেন যারা দিনভর ক্লান্তি, এক চোখে ঘুম নিয়েও বিছানায় গেলেও সহজে ঘুমাতে পারেন না। আর এই সহজে ঘুম না আসার কারণে একাধিক সমস্যায় পড়তে হয় তাদের। এমনও লক্ষ্য করা গিয়েছে বহু জন বিছানায় শোয়ার পর ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দিলেও ঘুমাতে পারেন না। তবে তিনটি সহজ পদ্ধতি রয়েছে যাতে করে বিছানায় শুয়েই ঘুমিয়ে পড়া যায়।
মিলিটারি মেথড : এই পদ্ধতি বের করেছেন মার্কিন নেভির প্রিফ্লাইট স্কুলের বিশেষজ্ঞরা। আসলে উড়োজাহাজ অথবা জেট বিমান চালানোর আগে সুনিদ্রা প্রয়োজন। যে কারণে তারা এই পদ্ধতি বের করেছেন এবং সেনাবাহিনীর তরফ থেকে এই পদ্ধতি বের করার জন্য এর নাম মিলিটারি মেথড।
এই পদ্ধতি অনুযায়ী বিছানায় শোয়ার পর প্রথমেই মনোযোগ দিতে হবে নিজের মুখের মাংস পেশির উপর। অনুভব করতে হবে কোন পেশি টান টান অথবা চেপে আছে কিনা। তারপর ধীরে সুস্থে পেশী শিথিল করতে হবে এবং মুখ, চোয়াল ও গলার পেশী সম্পূর্ণ শিথিল করে দেওয়ার পর গোটা শরীরকে আলাদাভাবে বিছানার উপর ফেলে রাখতে হবে। যাতে এমনটা মনে হয় আপনার শরীরের উপর আপনার আর কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। এরপর কল্পনায় কোন একটি গাছের মনোরম দৃশ্যের কথা ভাবতে হবে। পরীক্ষায় লক্ষ্য করা গিয়েছে, এই পদ্ধতি মেনে ১২০ সেকেন্ডের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়া সম্ভব।
৪-৭-৮ পদ্ধতি : যে সমস্ত ব্যক্তিদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তারা এই পদ্ধতি অনুসরণ করে সহজে ঘুমানোর পাশাপাশি নিজের ফুসফুস ভালো রাখতে পারবেন দীর্ঘদিন। এই পদ্ধতি আসলে একটি ব্রিদিং এক্সারসাইজ।
এই পদ্ধতি অনুসারে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর জন্য হারাম করে বিছানায় শুয়ে পড়তে হবে। এরপর ভিতর থেকে সমস্ত বাতাস বের করতে হবে ধীরে ধীরে। ঠিক তার পরেই মুখ দিয়ে ৪ সেকেন্ড শ্বাস নিতে হবে। তারপর ৭ সেকেন্ড শ্বাস ধরে রাখতে হবে। এরপর মুখ দিয়ে ৮ সেকেন্ড ধরে শ্বাস বের করতে হবে। এই পদ্ধতিতে মন শান্ত হয়, শরীর রিলাক্সড পায়। শরীর এবং মনের আরাম পাওয়ার দরুন তাড়াতাড়ি ঘুম আসে।
পিএমআর মেথড : এই পদ্ধতিতে শরীরের যেকোনো একটি পেশীকে প্রথমে টানটান করে ধরতে হয় এবং করে হুট করে ছেড়ে দিতে হয়। চোখ দিয়েও এই পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে। কিছুক্ষণ চোখ বড় বড় করে দেখতে হবে। তাতেই লক্ষ্য করা যাবে কপাল ও ভুরুতে চাপ পড়ছে। এইভাবে ৫ সেকেন্ড দেখার পর হুট করে ছেড়ে দিন। এরপর মুখ চওড়া করে হাসার ভঙ্গিতে খুলতে হবে এবং ৫ সেকেন্ড দেখার পর মুখ বন্ধ করে দিতে হবে। এতে মন শান্ত হয় এবং শরীর রিলাক্সড পাওয়ার দরুন সহজেই ঘুম আসে। এই পদ্ধতির পুরো নাম প্রোগ্রেসিভ মাসল রিল্যাক্সেশন।