The time difference between the two islands in Diomede, which is only three miles apart, is 24 hours: দ্বীপ দুটোকে (Diomede Island) দেখতে লাগে একেবারে বিন্দুর মত, যা প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে অবস্থিত। দ্বীপ দুটির মধ্যে দূরত্ব হলো তিন মাইল। কিন্তু যখনই আপনি এক দ্বীপ থেকে অন্যটিতে যাবেন বদলে যাবে গোটা একটা দিন। তাই সময়ের সাথে বদলাতে হবে ঘড়ির কাঁটাও। দুটো দ্বীপই পাশাপাশি অবস্থিত তাহলে কেন একটি থেকে অন্যটি এগিয়ে তাও আবার ২৪ ঘন্টা। কি রহস্য লুকিয়ে আছে এর পিছনে? জানতে হলে আজকের প্রতিবেদনটি অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পৃথিবীর মানচিত্র ভালো করে দেখলে বুঝতে পারবেন যে, উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের ওই দু’টি দ্বীপের নাম বিগ ও লিটল ডায়োমেড (Diomede Island)। দ্বীপ দুটির একদিকে আলাঙ্কা ও অপর দিকে সাইবেরিয়া। রুশ ভাষায় বিগ ডায়োমেডের নাম হলো রাতমানভ। অন্যদিকে লিটল ডায়োমেডটি ক্রুসেনস্টার দ্বীপ হিসেবে বেশি পরিচিত। আলাস্কা ও সাইবেরিয়ার মাঝে আছে বেরিং প্রণালী। সেই জায়গাতেই এই দু’টি দ্বীপের অবস্থান।
এত কাছাকাছি থাকা সত্ত্বেও কেন এক দিক থেকে অন্যদিকে গেলেই পরিবর্তন হয়ে যায় একটা গোটা দিনের। জড়িয়ে আছে কি কোন অলৌকিক কারণ নাকি সম্পূর্ণটাই বিজ্ঞানসম্মত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, দুটো দ্বীপ (Diomede Island) অবস্থিত আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার দুই পাশে। যখনই কেউ এক দ্বীপ থেকে অপরটিতে যান সময়ের হেরফের হয়ে যায় প্রায় ২৪ ঘণ্টা। সেই কারণে দুটো দ্বীপের মধ্যে ব্যবধান হলো একদিনের। কেউ কি আদৌ জানেন আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা কি? আসলে এটি একটি কাল্পনিক রেখা যা প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত টানা হয়েছে। কক্ষপথে পৃথিবীর ঘূর্ণনের উপর ভিত্তি করে সময় নির্ধারণ করা হয়।
আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন যে, প্রতি ১৫ ডিগ্রি দ্রাঘিমায় সময়ের ব্যবধান এক ঘণ্টা কম বা বেশি হয়ে থাকে এবং ১৮০ ডিগ্রি দ্রাঘিমাতে পুরো ২৪ ঘণ্টা কম বা বেশি হয়। এই দ্রাঘিমা রেখাটিকেই বলা হয় আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা। একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যেখানে বিগ ডায়োমেড সম্পূর্ণভাবে রাশিয়ার দখলে রয়েছে, অন্যদিকে লিটল ডায়োমেডে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আয়ত্তাধীন। দ্বীপ দুটো (Diomede Island) হল দুটো শত্রু দেশের অধীনে কিন্তু একটা অদ্ভুত জিনিস হলো এখানে ঠাণ্ডায় অস্বাভাবিক তুষারপাত হলে দু’টি দ্বীপের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে বরফের সেতু তৈরি হয়ে যায়। যা ধরে এক দ্বীপের বাসিন্দারা অন্যটিতে মাঝে মধ্যেই ঘুরে আসেন, যার জন্য লাগেনা কোন পাসপোর্ট ও ভিসা।
আমেরিকা ও রাশিয়া এই ধরনের সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি রূপে ঘোষণা করেছে। তবে দুই দেশের কেউ এই বেআইনি চলাচলের ওপর এখনো পর্যন্ত কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়া। এই ঘটনার পর থেকে ওয়াশিংটনের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ক একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। তাই আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেছেন যে, ভবিষ্যতের সম্পর্কের আরো অবনতি ঘটলে এই বেআইনি চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে।