নিজস্ব প্রতিবেদন : মন্দির, মসজিদ অথবা গির্জা বা গুরুদুয়ার, বিভিন্ন ধর্মের মানুষেরা এই সকল পবিত্র জায়গাগুলিতে যান শান্তি পেতে, নিজেদের ইচ্ছা পূরণ করার লক্ষ্যে। আর সেই সকল ইচ্ছা পূরণ করার জন্য অথবা ইচ্ছা পূরণ হলে বিপুল পরিমাণ অর্থ থেকে জিনিসপত্র দান করা হয়ে থাকে। এই দান ধ্যানের পরিপ্রেক্ষিতেই ধর্মীয় বিভিন্ন স্থানের সম্পত্তি বাড়ে।
ভারতের মতো দেশে মন্দির, মসজিদ, গির্জা অথবা গুরুদুয়ারের অভাব নেই। তবে এসবের মধ্যে বেশ কিছু ধর্মীয় স্থান রয়েছে যেগুলি আলাদাভাবে নজির তৈরি করেছে এবং সেসবের টানে বছর পর বহু পুণ্যার্থীদের আসতে দেখা যায়। ভারতে যে সকল বড় বড় মন্দির রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম আকর্ষণের মন্দির হল দক্ষিণ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানামস মন্দির। এই মন্দিরটি হল দেশের ধনীতম মন্দির।
৮৯ বছর আগে এই মন্দিরের উদ্বোধন হয়েছিল। পরাধীন ভারতের উদ্বোধন হওয়া এই মন্দিরের প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে দেশ পরাধীনতার শৃংখল থেকে মুক্ত হওয়ার পর থেকেই। এই মন্দিরে অবস্থান করেন ভগবান ভেঙ্কটেশ্বরার। বর্তমানে এই মন্দিরের মোট সম্পত্তির পরিমাণ শুনলে চোখ কপালে উঠবে। ট্রাস্টি বোর্ডের তরফ থেকে যে হিসাব দেওয়া হয়েছে তা থেকে জানা যায়, মন্দিরের বর্তমান মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২.৩ লাখ কোটিরও বেশি।
সম্পত্তির পরিমাণে স্বচ্ছতা আনার জন্য মাঝে মাঝেই শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হয়। গত রবিবার এইরকমই শ্বেতপত্র প্রকাশ করে ট্রাস্টি বোর্ডের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ১০.৩৩ টন সোনা এবং আড়াই টনের বহুমূল্য অলঙ্কার রয়েছে ভগবান ভেঙ্কটেশ্বরার। ব্রিটিশ আমলে ১৯৩৩ সালে দ্বারোঘাটন হওয়া এই মন্দিরের নামে ব্যাংকে বর্তমানে রয়েছে ১৫ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা।
শ্বেতপত্র থেকে জানা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই মন্দিরের নামে সম্পত্তি রয়েছে। মোট ৯৬০ টি জায়গায় সম্পত্তি রয়েছে তিরুমালা তিরুপতি মন্দিরের। দেশ ছাড়া বিদেশেও সম্পত্তি রয়েছে এই মন্দিরের। বিদেশের মাটিতে এই মন্দিরের নামে ৭ হাজার ১২৩ একর জমি রয়েছে।