Titanic Menu Card: কী কী খাবার ছিল টাইটানিকের যাত্রীদের, ১১১ বছর পর সামনে এলো মেনু কার্ড

Prosun Kanti Das

Published on:

How was the menu in Titanic’s catering?: সিনেমার শেষ দৃশ্যটা সবার মন ছুঁয়ে গিয়েছিল। বেদনাদায়ক সেই শেষ দৃশ্যটা আজও যেনো স্মৃতির পাতায় অমলিন হয়ে আছে। দরজার একটা পাল্লাকে খুড়ুকুটোর মতো আকঁড়ে রয়েছেন নায়িকা এবং পাশে কোনও রকমে ভেসে রয়েছেন নায়কও। যদিও স্পিডবোট এসে নায়িকাকে বাঁচালেও জলের গভীরে তলিয়ে যান নায়ক। হলিউডের সেই বিখ্যাত টাইটানিক সিনেমার রোমাঞ্চকর দৃশ্য। শুধু গল্প তো নয়, একেবারে বাস্তব ঘটনা থেকেই তৈরি হয়েছিল সেই সিনেমা। জানেন কি ১৯১২ সালে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে পঞ্চম দিনেই শেষ হয়েছিল বিশাল টাইটানিকের যাত্রা। মানুষ কিন্তু আজও ভুলতে পারেনি সেই ভয়ংকর ঘটনাকে।কিন্তু এই জাহাজ নিয়ে মানুষের আগ্রহেরও কোনো শেষ নেই। কেমন লাগবে যদি এই বিলাসবহুল জাহাজের খাবারের হদিশ পাওয়া যায়? শুধু কল্পনাতে নয়, সত্যি মিলেছে বিভিন্ন শ্রেণির যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ খাবারের খোঁজ। এবার প্রকাশ্যে টাইটানিকের সেই এলাহি মেনু কার্ড (Titanic Menu Card) ।

কেমন ছিল টাইটানিকের অন্দরমহলের সাজসজ্জা? জাহাজের সৃজনশীলতা থেকে শুরু করে সাজসজ্জা সবেতেই ছিল টাইটানিকের অনবদ্য কারুকার্য। ফলে সেই জাহাজে খাবারের আয়োজনেও যে কত অভিনবত্ব থাকবে তা বলাই বাহুল্য। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে ১১১ বছর আগের বিখ্যাত টাইটানিকের সেই মেনুকার্ডের (Titanic Menu Card) ছবি। এই মেনু কার্ড নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে উন্মাদনা একেবারে তুঙ্গে।

টাইটানিকের মেনু কার্ডের (Titanic Menu Card) ছবি শেয়ার করা হয়েছে Taste Atlas নামে এক ইনস্টাগ্রাম পেজে। সেখানে রয়েছে বিলাসবহুল এই জাহাজটির বিভিন্ন শ্রেণির খাবারের সম্পূর্ণ বিবরণ, এমনকি খাবার ঘরের বেশ কয়েকটি ছবিও। এই বিশাল আকৃতির জাহাজটির ছাড়ার দিন থেকে দুর্ঘটনার আগের দিন পর্যন্ত মেনুকার্ডের ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে নেটপাড়ায়।

জাহাজটি যেমন নিজেই একটি আশ্চর্য তেমনি অন্যান্য বিষয়ের মতোই মেনুকার্ডেও ছিল বিশাল চমক। যদিও বিভিন্ন শ্রেণির রুচি অনুযায়ী খাবারের ভিন্নতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। যেমন প্রথম শ্রেণির প্রাতরাশে ছিল কুকি, মাছের ফিলে দিয়ে বিভিন্ন পদ কিংবা ডাম্পলিং। সেটা আবার তৃতীয় শ্রেণিতে বদলে গিয়েছে ওটমিল আর দুধে। দেখলে অবাক হবেন ঠিক কী কী ছিল টাইটানিকের মেনুকার্ডে? প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের জন্য ছিল বিলাসবহুল খাবার যেমন ব্রিল, কর্নড বিফ, সব্জি, ডাম্পলিংস, গ্রিলড মটন, কাস্টার্ড পুডিং, চিংড়ি, নরওয়েজিয়ান অ্যাঙ্কোভিস এবং বিভিন্ন ধরনের চিজের খাবার।

অন্যদিকে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণির প্রাতঃরাশ এবং রাতের খাবার ছিল খুবই সীমিত। সেখানে শুধুমাত্র ওটমিল পরিজ এবং দুধ, স্মোকড হেরিংস, জ্যাকেট আলু, হ্যাম এবং ডিম, ব্রেড ও মাখন, মার্মালেড এবং সুইডিশ রুটি ছিল। জানেন কি টাইটানিকে পরিবেশন করা শেষ খাবারের নাম কী ছিল? তা জানিয়েও পোস্ট করা হয়েছে। আর সেই শেষ খাবার অর্থাৎ প্লাম পুডিং ১৫ এপ্রিল রাতে পরিবেশন করা হয়েছিল দ্বিতীয় শ্রেণিতে। উল্লেখ্য, টাইটানিক ডুবে যাওয়ার আগে তার শেষ লাঞ্চ-এর মেনু কার্ডকে সম্প্রতি নিলামেও তোলা হচ্ছে জানা গিয়েছে। যাতে পাওয়া যেতে পারে প্রায় ৫০ থেকে ৭০ মার্কিল ডলার।