ভোট আসছে, রাজনীতির তাপ বাড়ছে রাজ্য থেকে জেলায়

হিমাদ্রি মন্ডল : রাজ্যের সিংহাসন দখলের লড়াই আর বেশি দেরি নেই। আগামী বছর অর্থাৎ ২১-এর বিধানসভা নির্বাচন ঠিক করে দেবে রাজ্যের সিংহাসনে বসবে কোন দল। আর এই সিংহাসন দখলের লড়াই ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে তা জানান দিচ্ছে শাসক ও বিরোধী দুই পক্ষই। দুই পক্ষেরই নানান কর্মসূচি ইতিমধ্যেই রাজনীতির তাপ বাড়াচ্ছে রাজ্য থেকে জেলায়।

রাজ্যের বর্তমান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় যেমন এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে দিতে রাজি নয় বিরোধীদের ঠিক তেমনই রাজ্যের বর্তমানে সবথেকে বড় বিরোধী দল বিজেপি তথা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিও জয় ছিনিয়ে নিতে উঠে পড়ে নেমেছে ময়দানে। যে কারণে দুই পক্ষই নিজেদের জমি আঁকড়ে ধরে রাখতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় অনবরত রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করে চলেছে।

আর এই রাজনৈতিক উত্তাপ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে শনিবার বীরভূম সাক্ষী থাকলো অন্য এক মুহূর্তের। এদিন বিজেপির তরফ থেকে সংখ্যালঘু সেল কমিটি গঠন করা হলো সিউড়ি শহরে। আর এই সংখ্যালঘু সেল গঠন হওয়ার পরেই শাসকদলের বিরুদ্ধে তাদের হুংকার শোনা গেল। কমিটি গঠনের পরই সংখ্যালঘু সেলের সদস্যরা একটি মিছিল করে শহর পরিক্রমা করে। মিছিল থেকে উঠে আসে ৮ অক্টোবর নবান্ন অভিযানের আহ্বান। এর পাশাপাশি তাঁরা সরব হন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে, ‘রাজ্য সরকার দুর্নীতিতে ডুবে গেছে’। অন্যদিকে সকাল থেকেই কৃষি আইনের সমর্থনে বীরভূম বিজেপির পক্ষ থেকে জেলার বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে মিছিল বের করা হয়।

বিজেপির এই মিছিল শেষ হতে না হতেই তৃণমূল কংগ্রেসের আগাম ঘোষণা মত শহরে বের হয় আর একটি মিছিল। তৃণমূলের এই মিছিল মূলত কেন্দ্র সরকারের নানান নীতি, কৃষি আইন এবং উত্তরপ্রদেশেরগণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে। তৃণমূলের দাবি কেন্দ্র সরকারের নীতি সমূহ জনবিরোধী। এই মিছিলটি এদিন সিউড়ি তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয় থেকে বের করা হয় এবং শহর পরিক্রমা করে। আর এদিন সিউড়ি শহরের মতো বীরভূম জেলার বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে তৃণমূলের এই প্রতিবাদ মিছিল হয়।

ঠিক একই ভাবে পিছিয়ে নেই বাম ও কংগ্রেস। তারাও কখনো যৌথভাবে কখনো কখনো আলাদা আলাদাভাবে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের নানান নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। বিক্ষোভ প্রদর্শনের পাশাপাশি তারাও নানান কর্মসূচি গ্রহণ করে চলেছেন জেলার বিভিন্ন এলাকায়।