নিজস্ব প্রতিবেদন : পঞ্চায়েত অফিসের পঞ্চায়েত প্রধানের ঘরে প্রধানের মাথার উপর কার ছবি থাকবে? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) নাকি ভারত মাতার? এই নিয়ে শুক্রবার চরম দ্বন্দ্ব বাঁধে বিজেপি এবং তৃণমূলের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা এতটাই চরমে পৌঁছায় যে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে হয় বিশাল পুলিশ বাহিনীকে। আসরে নামতে হয় খোদ আইসিকে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নাকি ভারত মাতার ছবি থাকবে এই নিয়ে এমন দ্বন্দ্বের ঘটনাটি ঘটে বীরভূমের সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কড়িধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত অফিসে। এই পঞ্চায়েত আগে তৃণমূলের দখলে ছিল, তবে এই বছর সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে পঞ্চায়েত দখল করেছে বিজেপি। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার এই পঞ্চায়েতের ভোট গঠন হয় এবং নিয়ম অনুসারে বিজেপিরই দুজন পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধান হন।
বৃহস্পতিবার বোর্ড গঠন হওয়ার পর শুক্রবার দেখা যায় প্রধান বেলা দত্ত এবং উপপ্রধান সঞ্জীব বাগদি তাদের পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে মিছিল করে আসেন। মিছিল করে আসার সময় তাদের হাতে ছিল ভারত মাতার একটি ছবি। সেই ছবিটি তারা পঞ্চায়েত প্রধানের বসার আসনের ঠিক উপরে লাগাতে চান। সেখানে আগে থেকেই ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। তাদের দাবি সেই ছবি অন্য কোন ঘরে রেখে প্রধানের ঘরে থাকবে ভারত মাতার ছবি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে ভারত মাতার ছবি লাগানোর যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় তাতে বাধা দেন তৃণমূলের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যরা। তৃণমূলের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যদের মধ্যে প্রাক্তন উপ-প্রধান জয়দীপ মুখার্জি জানান, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে দেওয়ার যে দাবি তোলা হয়েছিল তাতে আমাদের আপত্তি রয়েছে এবং সেই আপত্তির কারণেই বাধা দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর ছবি থাকবে, তার পাশে যে কোনো ছবি লাগানো যেতে পারে।”
ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ালে সিউড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শেষমেষ মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সরাতে ব্যর্থ হন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যরা। অন্যদিকে এই ঘটনায় আবার বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, তাদের নানান ভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফ থেকে। হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে তারা সিউড়ি থানাতেও যান অভিযোগ দায়ের করার জন্য।