অমরনাথ দত্ত : এক দিকে যখন রাজ্য রাজনীতির সবথেকে আলোচ্য ব্যক্তি শুভেন্দু অধিকারী নিজের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য রওনা দিয়েছেন ঠিক তখনই অঘটন ঘটে গেল অনুব্রতর খাস তালুকে। শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফাপত্র জমা দেওয়ার আগেই বোলপুরে দুই তৃণমূল নেতানেত্রী দল ছাড়ার ঘোষণা করলেন। অন্যদিকে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বুধবার ইস্তফাপত্র জমা দেন, যদিও তার ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেননি অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার বোলপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তণ তৃণমূল কাউন্সিলর অরূপ রায় এবং তার স্ত্রী প্রাক্তণ তৃণমূল কাউন্সিলর শেলী রায় নিজের বাসভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে দল ছাড়ার ঘোষণা করলেন।
দল ছাড়ার কারণ হিসেবে তারা জানান, পদে পদে তাদের অপমানিত হতে হয়েছে। তারা এদিন জেলার তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্তের বিরুদ্ধেও তাদের অসম্মান করার অভিযোগ এনেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে বোলপুর পৌরসভার কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তপন সাহাকে নির্বাচনে হারিয়ে কাউন্সিলর হয়েছিলেন অরূপ রায়। এর ৫ বছর পর ওই একই ওয়ার্ডে নির্বাচনে দাঁড়ান তার স্ত্রী শেলী রায়। তিনিও জয়লাভ করেন এবং ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হন।
হঠাৎ অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুকে এই দুই তৃণমূল নেতা নেত্রীর পদত্যাগ ঘিরে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। একদিকে শুভেন্দুর বিধায়ক পদ ছাড়া, অন্যদিকে আগামী ২০ তারিখ বোলপুরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ! তাহলে কি তারা বিজেপিতে যোগ দেবেন! যদিও তারা এখনই দল ছাড়ার ঘোষণা করলেও অন্য কোন দলে যোগ দেবেন কিনা তা বলতে চাননি।
অন্যদিকে প্রাক্তন এই দুই তৃণমূল কাউন্সিলরের জল ছাড়ার ঘোষণার পর বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতির শ্যামাপদ মন্ডল জানিয়েছেন, “কয়েকদিনের মধ্যে তৃণমূলকে তালায় গোটানো করে রেখে দেবো। একের পর এক উইকেট পড়বে। বহু তৃণমূল নেতা আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন।”