লাল্টু : রাম নবমীকে (Rama Navami) ঘিরে গত কয়েক বছর ধরেই রাজ্যে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে প্রতিযোগিতা দেখা যায় শাসক দল তৃণমূল (TMC) এবং বিরোধী দল বিজেপির (BJP) মধ্যে। এই ঘটনাকে ঘিরে রাম কার তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠতেও দেখা যায়। কেননা দুই রাজনৈতিক দলই রামনবমীর দিন শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে নিজেদের ক্ষমতা জাহির করার প্রচেষ্টাই থাকে।
কিন্তু এই সকল ঘটনার মধ্যেই এই বছর রামনবমীতে নজির সৃষ্টি করল বীরভূমের দুবরাজপুর। যেখানে দেখা গেল তৃণমূল এবং বিজেপির নেতা কর্মীদের একসঙ্গে শোভাযাত্রায় হাঁটতে। এর আগে কখনো এইভাবে একসঙ্গে তাদের হাঁটতে দেখা যায়নি। বিশেষ করে রামনবমীর মত হাই ভোল্টেজ একটি দিনে। রাজ্যের কোথাও যা দেখা যায়নি, তা দেখা গেল বীরভূমের দুবরাজপুর শহরে। বলাই বাহুল্য রাম যেন তৃণমূল বিজেপির দূরত্ব ঘুচিয়ে দিলেন এক নিমেষে।
মূলত দুবরাজপুর শহরে বৃহস্পতিবার জয় শ্রীরাম সেবা সমিতির পরিচালনায় একটি বিশাল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। যে শোভাযাত্রাতেই রাজনৈতিক ভেদাভেদ মুছে ফেলতে দেখা যায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের। একসঙ্গে পা মেলাতে দেখা যায় বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা সহ অন্যান্য বিজেপি নেতাকর্মীদের এবং পা মেলাতে দেখা যায় দুবরাজপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা পীযূষ পান্ডে এবং দলের অন্যান্যদের।
এই শোভাযাত্রা প্রসঙ্গে অনুপ সাহা জানান, সমস্ত রাজনৈতিক দলের মানুষেরাই রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে আজকের এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছেন। রামচন্দ্র আর রামনবমী কারোর একা নয়। রামচন্দ্র সবার। আর সেটাই করে দেখালো দুবরাজপুর। রাজ্যে নজির তৈরি করলো দুবরাজপুর।
একইভাবেই পীযূষ পান্ডেকেও বলতে শোনা যায়, রামনবমী উপলক্ষে প্রতিবছর হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয় দুবরাজপুরে। এই বছর সমস্ত রকম রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে এক সঙ্গে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। বিজেপি তৃণমূল সভায় এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছেন এবং তাদের অংশগ্রহণে কোনরকম বাধা দেওয়া হয়নি।