Advertisements

বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় অব্যাহত জয়ের ধারা, তৃণমূলের হাতে এলো এই সকল ওয়ার্ড

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদল তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় একের পর এক পঞ্চায়েত নিজেদের দখলে এনেছিল। চার বছর পর ২০২২-র পৌর নির্বাচনেও এবার একের পর এক পৌরসভা এবং ওয়ার্ড বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জিততে দেখা যাচ্ছে তৃণমূলকে।

Advertisements

পৌরসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর হয়েছে মনোনয়নপত্র দাখিল। তবে স্কুটিনি এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পরিপ্রেক্ষিতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে অধিকাংশ ওয়ার্ড বিরোধী প্রার্থী শূন্য। অধিকাংশ ওয়ার্ডে বিরোধী দলের প্রার্থী না থাকার কারণে শাসক দলের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সেই-সকল ওয়ার্ডে জয়লাভ করলো।

Advertisements

মনোনয়ন দাখিলের সময়ই শাসক দল তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় হাসিল করেছিল সাঁইথিয়া পৌরসভায়। ওই পৌরসভার অধিকাংশ ওয়ার্ডে তৃণমূল জয়লাভ করার কারণে ভোটের আগেই সাঁইথিয়া পৌরসভা ধরে রাখতে সক্ষম হলো তারা। বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় সাঁইথিয়া পৌরসভার ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৪টি ওয়ার্ড জয় লাভ করেছে তৃণমূল।

Advertisements

একইভাবে ভোটের আগেই পৌরসভা দখল হয়েছে সিউড়িতে। সিউড়িতে ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬টি ওয়ার্ড শাসক দল তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে। বোলপুর পৌরসভার ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রমী কোনো ঘটনা ঘটেনি। বোলপুর পৌরসভার ২২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ইতিমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় এসেছে ১০টি ওয়ার্ডে।

অন্যদিকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে বিরোধী দলের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর দুবরাজপুর পৌরসভার ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫টি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে তৃণমূল এবং রামপুরহাট পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫টি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় হাসিল করছেন তৃণমূল প্রার্থীরা।

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা পার হওয়ার পর শনিবার সন্ধ্যায় সিউড়ি, দুবরাজপুর এবং সাঁইথিয়ার জয়ী প্রার্থীদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেন সিউড়ি সদর মহকুমার শাসক দীপাঞ্জন মুখোপাধ্যায়। রামপুরহাটের জয়ী প্রার্থীদের শংসাপত্র তুলে দেন রামপুরহাট মহকুমা শাসক সাদ্দাম নাভাস। একইভাবে বোলপুরেও জয়ী প্রার্থীদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়।

অন্যদিকে এই ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে বিজেপির বীরভূম জেলা সাংগঠনিক সভাপতি ধ্রুব সাহা অভিযোগ করেছেন, “বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার জন্য বাধ্য করা হচ্ছে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। দু’দিন আগেই যেসকল প্রার্থীরা দলের প্রতীক নেওয়ার জন্য লাইন দিচ্ছিলেন তারা এখন হঠাৎ কোন ম্যাজিকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন? বুঝতেই পারছেন কি চলছে।”

Advertisements