সোশ্যাল অডিট টিমের সার্ভেকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, চললো গুলি, বোমাবাজি

Laltu Mukherjee

Updated on:

Advertisements

লাল্টু : তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের অন্তর্গত পদুমা গ্রাম পঞ্চায়েতের গাঁড়া গ্রাম। মঙ্গলবার দুপুর বেলায় এই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে এলাকায় মুড়ি-মুড়কির মতো বোমাবাজির পাশাপাশি চলে গুলিও। এই ঘটনায় পাঁচ থেকে ছয় জন গুরুতর আহত অবস্থায় দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Advertisements

জানা গিয়েছে, এলাকার প্রাক্তণ তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মুকুল মন্ডল এবং তৃণমূল কার্যকরী সভাপতি তরুণ গড়াইয়ের গোষ্ঠীর মধ্যে এই সংঘর্ষ বাঁধে। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছেন খোদ বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জানিয়েছেন, যাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে তারা প্রত্যেকেই তৃণমূল কর্মী ও সমর্থক। যদিও তার কথায়, তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলি হলেও এখানে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। একটি মাঠকে কেন্দ্র করে এই বিবাদ। আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে, তবে বেশ কয়েক বছর চুপ থাকার পর ফের এই ঘটনা ঘটলো।

Advertisements

তৃণমূলের এই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত গোলাপ খান জানিয়েছেন, “ব্লক থেকে সার্ভে করতে এসেছিল। সেই সময় আমরা জিজ্ঞেস করতে যাই আমাদের বাড়িতেও কি সার্ভে হবে না? ইতিমধ্যে মুকুল মন্ডলের গোষ্ঠীর লোকজনেরা বলেন সার্ভে হবে না। এর পরেই বচসা হলে মুকুল মন্ডল ঘনিষ্ঠ কয়েকজন পরপর বোমা মারে এবং ছয় রাউন্ড গুলি করে। যেগুলিতে আমি, আমার ভাই এবং আমার কাকা আহত।”

Advertisements

দুবরাজপুর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক রাজা আদক জানিয়েছেন, “গ্রামে সোশ্যাল অডিট টিমের সার্ভে চলছিল। সেই সময় গ্রামের কয়েকজন এসে জিজ্ঞাসা করেন কিসের কাজ চলছে। এরপর আবার কয়েকজন এসে জিজ্ঞাসা করেন একই কথা। এরই মধ্যে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ওই টিম আর কাজ করা ঠিক হবে না উপলব্ধি করে সেখান থেকে বেরিয়ে আসে। এরপরেই ঝামেলা গুরুতর আকার নেয়। তবে আমাদের টিমের সদস্যরা প্রত্যেকেই নিরাপদেই ফিরে এসেছেন।”

ঘটনার খবর পেয়ে দুবরাজপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপরতা শুরু করে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে আট জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দুবরাজপুর বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা জানিয়েছেন, “তৃণমূল হচ্ছে দুর্নীতি পরায়ণ দল। আজ যে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তা তাদের এই দুর্নীতির প্রতিফলন হিসেবে প্রতিফলিত।”

Advertisements