নিজস্ব প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প যেমন রাজ্যজুড়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছে, ঠিক তেমনই আবার এই প্রকল্পের ফর্ম ফিলাপ থেকে ফর্ম বিলি নিয়ে নানান অভিযোগ উঠছে। একাধিক এই সকল অভিযোগের মধ্যে এবার এই প্রকল্পের ফর্ম বিলি নিয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লোকেরা। যে ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় ৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম বিলি নিয়ে এমন হাতাহাতি বা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের নানুরের পেঙ্গা গ্রামে। যেখানে এক পক্ষের লোকেদের অন্য পক্ষের উপর লাঠি, বাঁশ, লোহার রড ইত্যাদি নিয়ে চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠলো। এই ঘটনায় কারোর মাথা ফেটেছে, কারোর হাত ভেঙ্গেছে, কারোর আবার ভেঙেছে পা। ঘটনায় দুই পক্ষের মোট ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ভর্তি হয়েছেন বোলপুর সিয়ান হাসপাতাল।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রূপচাঁদ মল্লিক অভিযোগ করেছেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল করে আসছি। এখন আলম শেখ, আহাদ শেখ, আমন শেখ এরা দীর্ঘদিন ধরে সিপিএম করত। এরা এখন তৃণমূলে ঢুকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা যে তৃণমূলের হয়ে ভোট করেছি আর আমাদের উপরেই হামলা করছে। লক্ষ্মীর ভান্ডার ফর্ম নিয়ে আমাদের এখানে ঠিক হয়েছিল বকুল কাজীর সাথে আলোচনা করেই সবকিছু করতে হবে। কিন্তু আহাদ শেখ রাতের অন্ধকারে নিজেদের পরিচিতদের ফর্ম নিয়ে নিজেরাই পঞ্চায়েতে দিয়ে আসছে।”
ইতিমধ্যে লক্ষ্মীর ভান্ডার এই ফর্ম নিয়ে আলোচনা করার সময় ওই তিনজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে সদলবলে লাঠিসোটা, লোহার রড এবং অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় রূপচাঁদ মল্লিক দাবি করেছেন, তাদের ৬ জন হাত পা ভাঙ্গা, মাথাফাটা অবস্থায় বোলপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। প্রত্যেকের অবস্থায় গুরুতর।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই নানুর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ আটক অথবা গ্রেপ্তার হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে এই ঘটনা নিয়ে জেলা স্তরের কোন তৃণমূল নেতা এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি।