নিজস্ব প্রতিবেদন : গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর রীতিমতো কোণঠাসা হতে দেখা গিয়েছিল অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ জেলা পরিষদের প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান এবং তার অনুগামীদের। এরই মধ্যে অনুব্রত মণ্ডল জামিনে জেল মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরতেই ফের সেই তৃণমূল কর্মীদের থুপসরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দাপট বাড়তে দেখা যায়। আর তাদের যখন দাপট বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই সময় তৃণমূল নেতা কাজল শেখকে এলাকায় গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যায়। এসব দেখে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, অনুব্রত ফিরতেই জেলায় ফের ঠোকাঠুকি লেগে গেল তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে।
কাজল শেখ থুপসড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে রীতিমতো হুমকি দিয়ে জানান, ‘কোন গ্রূপবাজি সহ্য করব না। এখানে কার্যালয়ে দাঁড়িয়ে বলে দিচ্ছি, যেদিন গোটাবো, সব গুটিয়ে দেবো।’ কাজল শেখের এমন হুমকির পরই জেলার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে নানান প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
তবে কাজল শেখ এই বিষয়ে জানিয়েছেন, তিনি এমন কথা বলেছেন মূলত চক্রান্তকারীদের উদ্দেশ্য করেই। আগে অর্থাৎ ২০০০ সালে তাদের সঙ্গে যে সকল তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা দল করতেন তাদের একাংশ এখন কখনো সিপিআইএম আবার কখনো বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে অশান্তি তৈরি করার চেষ্টা করছে। সেই সকল চক্রান্তকারীদের উদ্দেশ্য করেই তিনি এমন কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন : Birbhum TMC: অনুব্রত না কোর কমিটি? এবার কার হাতে বীরভূমের রাস?
অন্যদিকে কাজল শেখের এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কেরিম খান জানিয়েছেন, ‘কে কি বলছেন জানিনা। তবে অভিভাবকহীন বীরভূম আবার অভিভাবক ফিরে পেয়েছেন এবং সেই অভিভাবক যেমন নির্দেশ দেবেন সেই মতো আমরা চলবো’। এর পাশাপাশি কারো নাম না করে কাজল শেখের এমন হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি জানান, ‘বলতেই পারে। আমরা অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশ মতোই আমাদের কাজ চালাবো।’
অন্যদিকে এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা জানিয়েছেন, ‘কাজল শেখ হুমকি দেবে না তো কে আর হুমকি দেবে। আমরা জানি কাজল শেখ আর অনুব্রত মণ্ডল যতদিন থাকবে ততদিন তৃণমূলের লবি বাজি চলবে। আরও একটা নতুন গোষ্ঠী হয়েছে, মন্ত্রী বাবু আর বিধায়ক বাবুকে অনুব্রত ঘরে ঢুকতে দেয়নি। এখন খেলা হবে স্লোগানের মতোই খেলা হচ্ছে আর সেই খেলা দেখছি, মজা নিচ্ছি, বীরভূমের বাসিন্দা হয়ে আপনারাও আনন্দ নিন।’