৫ যুক্তিতেই কি সিবিআইয়ের আবেদন খারিজ! জামিন নারদ ধৃতদের

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : সোমবার সকাল থেকে ফের একবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে নারদ কান্ড। সিবিআই গ্রেপ্তার করে রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় সহ তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। তবে বেলা শেষে এই চারজন সিবিআই আদালতে অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন।

Advertisements

Advertisements

সিবিআই বিশেষ আদালতে এদিন প্রথম সিবিআই-এর তরফ থেকে ধৃতদের পুলিশি হেফাজত চাওয়া হয়। পরে তারা অবস্থান বদল করে জেল হেফাজতের আবেদন করেন। তবে সিবিআইয়ের এই সকল আবেদনের বিপক্ষে তৃণমূলের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় পাঁচটি বিষয়ে জোড়ালো যুক্তি পেশ করেন।

Advertisements

১) দুর্নীতি দমন আইনে কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে হলে ঘুষ চাওয়ার প্রমাণ থাকতে হয়। কিন্তু যে ভিডিওর উপর ভিত্তি করে সিবিআই অভিযোগ করছে সেখানে ঘুষ চাওয়ার কোনো প্রমাণ নেই। তাদের যেচে টাকা দেওয়া হয়েছে। সুতরাং এই ঘটনা ঘুষ বলে গন্য হওয়া উচিত নয়।

২) সুপ্রিম কোর্ট গত ৭ মার্চ রায় দিয়েছে, বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে অকারণে কাউকে যেন জেল হেফাজতে নেওয়া না হয়। আর এই মামলা ২০১৭ সালের। এই দীর্ঘ সময়ে বাদে কেন অভিযুক্তদের গ্রেফতার করছে সিবিআই।

৩) সিবিআই রাজ্যপালের কাছে গত জানুয়ারি মাসে এই অনুমোদন চাওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্যপাল তা রাজ্য সরকারকে বা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাননি। এমনকি রাজ্যে ৩ মে পর্যন্ত এবং ৫ মে পুনরায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেও তাকে অথবা প্রোটেম স্পিকের সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে কিছু জানানো হয়নি। এই ঘটনা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক।

৪) রাজ্যপাল পিছনের দরজা থেকে সিবিআইকে এই অনুমতি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল যদি অনুমতি দিতে চাইতেন তাহলে তা রাজ্য সরকারের মারফতেই জানাতে হতো।

[aaroporuntag]
৫) ২০১৪ সালের স্টিং অপারেশন হওয়া থেকে মন্ত্রী এবং প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্ররা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তারা কোথাও কোনো রকম প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টা করেননি বা অভিযোগ ওঠেনি। তারা কোথাও পালিয়েও যাননি। সুতরাং জামিন পেয়ে প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টা করবেন এমন আশঙ্কা করা অযৌক্তিক।

Advertisements