অনুব্রত গড়ে ফের অস্বস্তিতে তৃণমূল, দল ছাড়লেন জেলা সহ সভাপতি

Shyamali Das

Updated on:

Advertisements

রায়হান রেজা : শাসকদলের অস্বস্তি দিন দিন বেড়ে চলেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। আর তারই ছায়া পড়তে দেখা যাচ্ছে অনুব্রত গড়েও। তৃণমূলের ফের অস্বস্তি বাড়িয়ে বীরভূমের জেলা সহ-সভাপতি তথা মুরারইয়ের তৃণমূল নেতা আলী মুর্তুজা খান রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের সঙ্গ ত্যাগ করার ঘোষণা করলেন। আর এই দলত্যাগের ফলে ফের একবার অনুব্রত গড়ে ভাঙন ধরলো শাসক দলে।

Advertisements

Advertisements

আলী মুর্তুজা খান ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে এই এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে। সেই নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন আব্দুর রহমান। মূলত দুই পক্ষের লড়াইয়ে মাত্র ২৮০ ভোটের ব্যবধানে এই আসন ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল। তবে ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পর আলী মুর্তুজা খান কংগ্রেস ত্যাগ করে তৃণমূলে নাম লেখান। তারপর তৃণমূল থাকে জেলার সহ-সভাপতি পদে বসান।

Advertisements

তবে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি দলের কাছে ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন এলাকার প্রার্থী হওয়ার, এমনটাই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। কিন্তু দল প্রথমে বিদায়ী বিধায়ক অর্থাৎ আব্দুর রহমানকেই প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করে। আর এরপর আব্দুর রহমান অসুস্থ হলে ওই প্রার্থী বদলের সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল এবং নতুন প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় ডাঃ মোশারফ হোসেনের। আর এখানেই তার সব থেকে বড় ক্ষোভ বলে জানিয়েছেন আলী মুর্তুজা খান।

রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানান, “২৮ তারিখে যে কংগ্রেসের প্রার্থী হতে যাচ্ছিল তাকে ২৯ তারিখ তৃণমূলের প্রার্থী করে দিলো দল। এটা কি ঠিক করলো! আমি এর পরেই আমার অনুগামীদের সাথে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি দল ছাড়ার।”

[aaroporuntag]
পাশাপাশি তিনি এদিন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন। তবে কোন দলের হয়ে তিনি প্রতিদ্বন্দিতা করবেন তা এখনই তাকে খোলসা করতে দেখা যায়নি। মূলত তিনি এদিন জানিয়েছেন, “আগামী ৭ তারিখ মনোনয়নপত্র জমা দেবো। তবে কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে নাকি নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেবো তা দু’দিনের মধ্যে সকলকে জানিয়ে দেবো।”

Advertisements