‘বিশ্বভারতীর ভিসি আর দিলীপ ঘোষ দুটোই পাগল, বেঁধে রাখা উচিত’, অনুব্রত

প্রসূন দাস : নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে শনিবার ভবানীপুর কেন্দ্রের উপ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার সাথে সাথেই বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছে তৃণমূল। কারণ এই উপনির্বাচন না হলে সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী সংকটে পড়বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রীত্ব। তবে এই একটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই বারংবার একটি কেন্দ্রের উপ নির্বাচন ঘোষণা হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। তবে এই সবকে যেমন পাত্তা দিতে চাইছে না শাসক দল, তেমনি পাল্টা প্রত্যুত্তরও শুরু হয়েছে।

এদিন এই উপনির্বাচন এবং বিশ্বভারতীর সাম্প্রতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্য করতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বিশ্বভারতীর উপাচার্য এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে পাগল বলে কটাক্ষ করলেন।

এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “এই বিশ্বভারতীর যে ভিসি আছে সে মস্ত বড় পাগল। ওকে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখতে হয়। বড় শেকল দিয়ে। আর দিলীপ ঘোষ ছোট পাগল। একে ছোট দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখতে হয়। দুটোই পাগল। এ বড় পাগল আর এ ছোট পাগল।”

পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডল এদিন পুনরায় নিজের ভবিষ্যদ্বাণী করে জানিয়ে দেন, “১৩টা জিতে আছি। সাতটা বাকি আছে, ২০টা হয়েছে যাবে। ২২০। জানো তো এখন সব পুকুরঘাট ভর্তি হয়ে গেছে। নদী ভর্তি, কানায় কানায় জল। গঙ্গা ভর্তি কানায় কানায়। সমুদ্র কানায় কানায়। থৈ পাবে বিজেপি? পা ঠিকবে না মাটিতে। অতল তলে তলিয়ে যাবে।”

প্রসঙ্গত, শনিবার ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বীরভূমে আসেন। সেখানে তিনি উপ নির্বাচন নিয়ে নানান প্রশ্ন তোলেন। আর এই সকল প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতেই পাল্টা উত্তর দিতে দেখা যায় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে।