নিজস্ব প্রতিবেদন : অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal), যার নাম শুনে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খায়, যাকে বীরভূমের বেতাজ বাদশা বলা হয়, আবার কেউ কেউ তাকে ‘বাঘ’ বলেন। যদিও এমন একজন দাপুটে নেতা এখন শ্রীঘরে রয়েছেন। তার এখন ঠাঁই হয়েছে তিহার জেলে (Tihar Jail)। তবে বীরভূমের বাইরে অর্থাৎ তিহারে থাকা অবস্থাতেও তিনি কিন্তু আরও একটি নাম পেলেন, সেই নাম হল ‘নীলকন্ঠ’।
অনুব্রত মণ্ডলকে নীলকন্ঠ অর্থাৎ মহাদেবের সঙ্গে তুলনা করেছেন তৃণমূলের আরেক নেতা মলয় মুখোপাধ্যায় (Malay Mukhopadhyay)। তিনি কেন অনুব্রত মণ্ডলকে নীলকণ্ঠ অর্থাৎ মহাদেবের সঙ্গে তুলনা করেছেন তার কারণও জানিয়েছেন কর্মীদের সামনে। তৃণমূল নেতা মলয় মুখোপাধ্যায়ের এহেন বক্তব্য জেলার রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। আর এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েন নি বিরোধীরা।
মহঃবাজারে একটি দলীয় কর্মীসভায় বক্তব্য রাখার সময় মলয় মুখোপাধ্যায় জানান, “যখন সমুদ্রমন্থন হয়েছিল, অমৃতের সঙ্গে কিন্তু গরলও উঠেছিল। অমৃত যেমন দেবতারা ভাগ করে খেয়ে নিয়েছিল, গরল পানের লোক ছিল না। কে খেল গরলটা? খেলো নীলকণ্ঠ শিব। তিনি পান করে নীলকণ্ঠ হয়েছেন।”
আর বক্তব্য পেশ করার সঙ্গে সঙ্গে তিনি জানান, “বর্তমানে যে অবস্থা আমাদের বীরভূম জেলায় সেই বিষ যিনি পান করতেন পান করতে পারতেন, তিনি আমাদের কাছে নেই। তিনি ঘটনাচক্রে, রাজনৈতিক প্যাচঁ পয়জারে কায়দা করে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। আর ভাবছি আমরা শুধু অমৃতই পান করছি। বিষ তো নেই। তবে এর মধ্যেও কিন্তু গরলটা মিশে আছে। সেই গরল আমাদের নেতাদের মুখে চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ছে।”
মলয় মুখোপাধ্যায়ের এহেন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহা কটাক্ষ করে জানান, “কয়লা, গরুর অনেক বিষ খেয়েছে সত্যিই। যে কারণেই তো তাকে আজ দিল্লি যেতে হয়েছে। তবে তৃণমূল নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে যাওয়ায় কাকে কার সঙ্গে তুলনা করতে হয় সেই জ্ঞান বুদ্ধি হারিয়েছেন।”