নিজস্ব প্রতিবেদন : সকলের জন্য নূন্যতম আয় থেকে পড়ুয়াদের জন্য ১০ লক্ষ টাকা ঋণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলো তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তেহারে। বুধবার কালিঘাট থেকে এই ইস্তেহার প্রকাশ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের আগে চমকপ্রদ এই ইস্তেহার তৃণমূলের মাস্টারস্ট্রোক বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। চলুন দেখে নেওয়া যাক ইশতেহারের ৮টি দিক।
১) এগারো সালে শাসনে আসার আগে যে ইস্তেহার প্রকাশ করা হয়েছিল তার ১১০% কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানানো হলো ইস্তেহারে।
২) তৃণমূল পুনরায় সরকার গঠন করলে রাজ্যের প্রতিটি জেনারেল ক্যাটাগরির পরিবার বছরে ছয় হাজার টাকা পাবেন। একইভাবে তপশিলি জাতি ও উপজাতির পরিবারগুলি পাবেন ১২,০০০ টাকা।
৩) টাকা দেওয়ার বিষয়ে যে প্রকল্প আনা হবে সেই প্রকল্প হবে পরিবারের গৃহকর্ত্রীর নামে। অর্থাৎ পরিবারের মহিলাদের হাতে সেই টাকা তুলে দেওয়া হবে।
৪) ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বিধবাদের বিধবা ভাতা দেওয়া হবে। তা দেওয়া হবে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে।
৫) কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় থাকা কৃষকদের ভাতা আরও বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ইস্তেহারে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তৃণমূল পুনরায় সরকার গঠন করলে বার্ষিক দশ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
৬) পড়ুয়াদের কোনরকম জামিনদার ছাড়াই ১০ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়া হবে। এই ঋণের জন্য সরকার নিজেই জামিনদার হবে এবং ঋণের ক্ষেত্রে মাত্র ৪% সুদ দিতে হবে পড়ুয়াদের।
৭) ৫ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
৮) দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী দের জন্য ২৫ লক্ষ নতুন বাড়ি দেওয়া হবে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে।
[aaroporuntag]
তবে তৃণমূলের এই ইস্তেহার নিয়ে ইতিমধ্যেই বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা নানান প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। তারা এই ইস্তেহারকে ‘নির্বাচনী গিমিক’ বলে অভিহিত করেছেন। তাদের অভিযোগ, “রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই গলা পর্যন্ত ঋণে জর্জরিত সেই জায়গায় এত টাকা কোথায় থেকে আসবে তা কিন্তু ইস্তেহারে কোথাও বলা হয়নি। সুতরাং এই সকল প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।”