নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলীয় কর্মী থেকে বিধায়ক ও মন্ত্রীদের নিয়ে অস্বস্তিতে তৃণমূল। অন্তত রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা এমনটাই মনে করছেন। আর সেই অস্বস্তিকে শুক্রবার আরও বাড়ালেন রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন ইস্তফা দেন রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে। ইতিমধ্যেই তিনি ইস্তফা পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। শুভেন্দু অধিকারীর পর রাজ্যে দ্বিতীয় কোন মন্ত্রী এইভাবে ইস্তফা দিচ্ছেন। আর তার ইস্তাফা ঘিরে কানাঘুষা শুরু হয়েছে তাহলে কি জল্পনায় সত্যি হতে চলেছে!
কেন জল্পনা সত্যি হওয়ার প্রসঙ্গ উঠছে? কারণ বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে আগামী ৩০ এবং ৩১ শে জানুয়ারি ফের বাংলা সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রথম দিন তিনি নদিয়ার ইসকন মন্দিরে যাবেন এবং পরে বনগাঁর ঠাকুরনগরে সভা করবেন। দ্বিতীয় দিন তাকে দেখা যাবে উলুবেড়িয়ায় রোড শো করতে। তার পরেই রয়েছে হাওড়ার ডুমুরজলায় জনসভা।
আর অমিত শাহের বঙ্গ সফরের ঠিক সপ্তাহ খানেক আগেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ দেওয়া যেন শুভেন্দু অধিকারীর পথই দেখাচ্ছে। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা। যদিও এখনো পর্যন্ত রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সত্যিই গেরুয়া শিবিরে যাচ্ছেন কিনা তার কোনো ইঙ্গিত দেননি। শুভেন্দু অধিকারীর ক্ষেত্রেও এমনটাই দেখা গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত জিয়ে রেখেছিলেন জল্পনা। ঠিক এমনটাই কি করতে চলেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, তাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
অন্যদিকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেশ কিছুদিন ধরেই বেসুরো দেখা যাচ্ছে। এমনকি শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে থেকেই তাকে দলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় সরব হতে দেখা গিয়েছে। বেশ কয়েকবার মানভঞ্জনের জন্য চেষ্টা চালানো হয়েছে তৃণমূলের তরফ থেকে। এমনকি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কেউ বলতে দেখা গিয়েছে ‘কোন জল্পনা-কল্পনা কিছু নেই’। কিন্তু তারপরেও দলের সাথে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই সম্পর্ক আর দেখতে পাওয়া যায়নি। যে কারণে এখনই প্রকাশ্যে কিছু না বললেও তিনি যে গেরুয়া শিবিরের নাম লেখাতে চলেছেন তা নিয়েই গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।