নিজস্ব প্রতিবেদন : বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে এমন অবস্থা হতে পারে তা হয়তো আগে টের পাননি জেলাশাসক থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা। বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে রীতিমতো বন্যার জলে ডুবতে ডুবতে বাঁচলেন তৃণমূলের এক বিধায়ক, দুই সাংসদ, জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার সহ অন্ততপক্ষে ১১ জন। বুধবার এমন ঘটনাটি ঘটে বীরভূমের লাভপুর এলাকায়।
গত শুক্রবার থেকে গভীর নিম্নচাপের কারণে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি বীরভূমের বিস্তীর্ণ এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। সেই বৃষ্টির জল, পাশাপাশি বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ার কারণে কুয়ে নদীর বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। লাভপুর ব্লকে থাকা এই কুয়ে নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে অন্ততপক্ষে ১২ থেকে ১৩ টি গ্রাম প্লাবিত। বুধবার সেই সকল প্লাবিত এলাকা ঘুরে দেখার জন্য একটি স্পিডবোটে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন প্রশাসনিক কর্তারা।
এদিন লাভপুর ব্লকের প্লাবিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বীরভূম জেলাশাসক বিধান রায়, বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার রাজ্য নারায়ন মুখোপাধ্যায়, রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সামিরুল ইসলাম, বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ অসিত মাল, লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা সহ অন্ততপক্ষে ১৩ জন। তারা প্লাবিত এলাকা ঘুরে দেখার সময় এমন দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পর বন্যার জলে ডুবতে ডুবতে কোন রকম ভাবে তারা রক্ষা পান।
আরও পড়ুন : Ajay Bridge: রাস্তা কমে যাবে ২৫ কিলোমিটার, খুব তাড়াতাড়ি খুলতে চলেছে অজয়ের উপর নতুন সেতু
কিভাবে এমন দুর্ঘটনা ঘটলো তা জানাতে গিয়ে লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা জানিয়েছেন, তারা যখন স্পিডবোটে যাচ্ছিলেন সেই সময় হঠাৎ তাদের স্পিডবোটের পপেলারটি কিছুতে আটকে যায় আর তারপরই স্পিডবোট থেমে যায়। এরই মধ্যে ওই স্পিডবোটটি জলের ঘূর্ণির মধ্যে পড়ে বনবন করে ঘুরতে শুরু করে আর তারপরে স্পিডবোটটি উল্টে যায়। স্পিডবোটটি উল্টে যেতেই তারা জলে হাবুডুবু খেতে শুরু করেন।
ঘটনা দেখতে পেয়েই স্থানীয় বাসিন্দারা তড়িঘড়ি ওই সকল প্রশাসনিক আধিকারিকদের উদ্ধার করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং তাদের সহযোগিতায় প্রত্যেকে সুরক্ষিত ভাবে ডাঙ্গায় আসেন। এদিনের ঘটনা সম্পর্কে সাংসদ অসিত মাল জানিয়েছেন, তারা সাঁতার জানলেও জলের যেভাবে কারেন্ট অর্থাৎ তীব্রতা ছিল তাতে কিছু করার ছিল না। কোনক্রমে তাদের প্রাণ বেঁচে গিয়েছে।