রাজ্যে প্রথম, করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন বিধায়ক

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় দিন কয়েক আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন করোনায় আক্রান্ত হওয়া বিধায়ক তমোনাশ ঘোষের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে। আর সেই আশঙ্কা ও উদ্বেগকে সত্যি করে এবার করোনা আক্রান্ত হওয়া ওই বিধায়ক প্রাণ হারালেন। পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্ত হওয়া প্রথম কোন বিধায়কের মৃত্যু হল। তিনি কোভিড আক্রান্ত হয়ে বাইপাসের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। এরপর বুধবার সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর আসে।

Advertisements

Advertisements

তমোনাশ ঘোষ প্রথম ২০০১ সালে তৃণমূলের টিকিটে বিধানসভা ভোটে জয়লাভ করেন। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন। তারপর থেকে টানা তিনবার বিধায়ক নির্বাচিত হন। প্রায় এক মাস ধরে করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনি বাইপাসের ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মাঝে খবর পাওয়া গিয়েছিল তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে এর পরেই আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেছিলেন, “চিকিৎসকরা চেষ্টা করছে। কিন্তু আমি জানিনা তমোনাশ বাঁচবে কিনা।”

Advertisements

মৃত ওই বিধায়কের অন্যান্য পরিবারের সদস্যরাও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে তারা ধীরে ধীরে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। শুধু ফেরা হলো না তৃণমূলের এই বিধায়কের। ভোটের ময়দানে বিরোধীদের হেলায় হারাতে সক্ষম হলেও করোনা জয় করতে পারলেন না তিনি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তমোনাশ ঘোষের মাত্রাতিরিক্ত সুগার ছিল। আর সেই মাত্রাতিরিক্ত সুগার ওষুধ দিয়ে কমানো হয়। তবে এর পরেই শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাও কমানোর চেষ্টা করা হয়। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ভেন্টিলেশনে ছিলেন। যার ফলে আবার গলায় সংক্রমণ শুরু হয়। সেখান থেকেও তাঁকে সুস্থ করে ফেরানোর চেষ্টা করা হলেও শেষ রক্ষা হল না।

তমোনাশ ঘোষের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে সব প্রকাশ করেন, “ফলতার তিনবারের বিধায়ক এবং ১৯৯৮ সাল থেকে দলের কোষাধক্ষ্য আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। ৩৫ বছর ধরে তিনি আমাদের সঙ্গে ছিলেন। সাধারণ মানুষ ও দলের প্রতি অত্যন্ত নিষ্ঠাবান ছিলেন তিনি। সামাজিক স্তরের নানান কাজেও তাঁর যথেষ্ট অবদান রয়েছে।”

Advertisements