কত টাকার মালিক সিবিআই স্ক্যানারে থাকা তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা! ফাঁস সম্পত্তির ঠিকুজি-কুষ্ঠি

নিজস্ব প্রতিবেদন : নদীয়ার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস কুমার সাহা (Tapas Kumar Saha) এবার সিবিআই স্ক্যানারে চলে এলেন। শুক্রবার দুপুর বেলা তার বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকরা হানা দেন এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার বাড়ি ছেড়ে শনিবার সকালে বেরিয়ে যায় সিবিআই। তবে ফের তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে নেমে সিবিআই আধিকারিকরা তেহট্টের বিধায়ক তাপস কুমার সাহার দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকার সন্দেহের পরিপ্রেক্ষিতেই এমন জিজ্ঞাসাবাদ। তাপস সাহা ছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তার আপ্তসহায়ক প্রবীর কয়াল এবং তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যখন বিধায়ককে নিয়ে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন সেই সময় বিধায়কের সম্পত্তি নিয়েও উঠছে নানান প্রশ্ন।

তেহট্টের বিধায়ক তাপস কুমার সাহা ঠিক কত টাকার মালিক সেই খতিয়ান আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। তার সম্পত্তির ঠিকুজি কুষ্ঠি আমাদের হাতে। তাপস কুমার সাহার মোট ৬টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা টাকার পরিমাণ যথাক্রমে ৪ লক্ষ ১৮ হাজার ৬০৭ টাকা, ৬ লক্ষ ১৯০ টাকা, ১ লক্ষ ৮ হাজার ২৭৫ টাকা, ১৩৮০ টাকা, ১০০ টাকা এবং ১০ হাজার টাকা। তার ছেলের নামে একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে যেখানে থাকা টাকার পরিমাণ ৩৬০ টাকা।

এলআইসি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা টাকার পরিমাণ তার এবং ছেলের ২ লক্ষ টাকা করে ৪ লক্ষ টাকা। তাপস কুমার সাহার একটি মহিন্দ্রা বোলেরো গাড়ি এবং একটি হোন্ডা সাইন মোটর বাইক রয়েছে। যে দুটির মূল্য যথাক্রমে ৩ লক্ষ ৪৯ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং ৪০ হাজার টাকা। ছেলের নামে একটি বাজাজ ডমিনার বাইক রয়েছে যার মূল্য হল ১ লক্ষ ৯৯ হাজার ৩২৬ টাকা।

তাপস কুমার সাহার ২৫০০০ টাকার সোনার অলংকার রয়েছে। এই সকল সমস্ত সম্পত্তি মিলে তার নামে রয়েছে ২০ লক্ষ ২৬ হাজার ৯৭৮ টাকার সম্পত্তি। তার ছেলের নামে রয়েছে ৪ লক্ষ ১৫ হাজার ৩৮৬ টাকার সম্পত্তি। এর পাশাপাশি জমি জমা সহ অন্যান্য সম্পত্তি হিসাবে তাপস সাহার রয়েছে ২৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার সম্পত্তি এবং তার ছেলের নামে রয়েছে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার সম্পত্তি।

তৃণমূল বিধায়ক তাপস কুমার সাহার সম্পত্তির ঠিকুজি কুষ্ঠি জানা গিয়েছে ২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী। যে সময় তিনি তৃণমূলের হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন এবং মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় হলফনামা জমা দিয়েছিলেন। তবে গত দু’বছরে তিনি কত পরিমাণ সম্পত্তি বৃদ্ধি করেছেন অথবা ক্ষয় করেছেন তা জানা যায়নি।