নিজস্ব প্রতিবেদন : যেখানে দিনের পর দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে চলেছে সেখানে মাত্র ২০ টাকাতেই মাছ মাংস ভাত! শুনতে অবাক লাগলেও এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফ থেকে। রাজ্যে এমন অভিনব ক্যান্টিনের দেখা মিলেছে যেখানে স্বল্পমূল্যে সুস্বাদু খাবার দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের তরফ থেকে।
যদিও এমনটা প্রথম নয়, কারণ এর আগে সিপিআইএমের তরফ থেকে লকডাউন চলাকালীন স্বল্পমূল্যে খাবার সরবরাহ করার জন্য খোলা হয় শ্রমজীবী ক্যান্টিন। আর এবার তারই পাল্টা হিসেবে তৃণমূলের তরফ থেকে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সিপিআইএমের ধাঁচেই নতুন এই ক্যান্টিন খোলা হয়েছে হাওড়াতে। যেখানে ৩ নম্বর এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সস্তায় পেট ভরে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর তৃণমূলের তরফ থেকে এই ক্যান্টিনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মমতার মমতা’।
এই ক্যান্টিনে মাত্র ১০ টাকায় নিরামিষ খাবার এবং ১৫-২০ টাকাতে আমিষ খাবার দেওয়া হচ্ছে। ১০ টাকায় দেওয়া হচ্ছে ডাল, ভাত, সবজি। ১৫ টাকায় দেওয়া হচ্ছে ডাল, ভাত, ভাজা, সবজি ও ডিম এবং ২০ টাকায় দেওয়া হচ্ছে ডাল, ভাত, সবজি, মাছ অথবা ডিম। এই ক্যান্টিনের সপ্তাহে তিন দিন নিরামিষ এবং বাকি চার দিন আমিষ খাবারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। আর চারদিন আমিষ খাবারের মধ্যে রবিবার ২০ টাকায় দেওয়া হচ্ছে মুরগির মাংস ও ভাত। প্রতিদিন প্রায় ২৫০ জনের রান্নার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের তরফ থেকে।
তৃণমূলের তরফ থেকে এমন ক্যান্টিনের উদ্যোক্তা হাওড়া ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর বাপি মান্না জানিয়েছেন, খাবারের জন্য খরচের যে ঘাটতি হচ্ছে তা কর্মীরা নিজেরাই বহন করছেন। আর এই ক্যান্টিন খোলা হয়েছে হাওড়া শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকদের দুর্দশার কথা মাথায় রেখে।
কিন্তু এই ক্যান্টিন কি সিপিআইএমের ধাঁচে? এই প্রশ্নের জবাবে ওই তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, “সামনের বিধানসভা ও পৌরসভা নির্বাচন থাকলেও এর সাথে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। সারা বছরই দল সাধারণ মানুষের পাশে থাকে। আর এই ক্যান্টিন খোলার পরিকল্পনা অনেক দিনের। সত্যবালা আইডি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য দেড় মাস খাবারের বন্দোবস্ত করেছিলাম আমরা।”