বিধিনিষেধকে বুড়ো আঙ্গুল, হাজার মানুষকে নিয়ে সভা ও বস্ত্র বিতরণ শাসকদলের

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে করোনা সংক্রমণ। সংক্রমণের এই গ্রাফ দেখে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। সংক্রমণের এই বাড়াবাড়িকে রুখে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার একাধিক বিধি নিষেধ জারি করেছে গত রবিবার। অন্যদিকে রাজ্যের পাশাপাশি একই অবস্থা বীরভূমেও। কিন্তু সেই সকল বিধিনিষেধকে তোয়াক্কা না করেই হাজার মানুষকে নিয়ে সভা ও বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান সেরে ফেললেন শাসকদল তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

Advertisements

বিধি-নিষেধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এমন সভা এবং বস্ত্র বিতরণের অনুষ্ঠানটি মঙ্গলবার আয়োজিত হয় বীরভূমের শান্তিনিকেতনের গোয়ালপাড়া তনয়েন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে। এই জনসভা এবং বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাজারের বেশি মানুষ। হাজারের বেশি মানুষের উপস্থিতির কথা অস্বীকার করেছেন বোলপুরের তৃণমূল শহর সভাপতি নরেশচন্দ্র বাউরি।

Advertisements

এদিন তৃণমূলের এই জনসভা এবং বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ওই স্কুল চত্বরে তৈরি করা হয় একটি মঞ্চ। যে মঞ্চে এলাকার বেশ কয়েকজন যুবক বিজেপি ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূলে। অন্যদিকে কম্বল নেওয়ার জন্য উপস্থিত মানুষদের মধ্যে লক্ষ্য করা যায় ঠাসাঠাসি করে লাইন এবং হুড়োহুড়ি।

Advertisements

যদিও এই জনসভা এবং বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে বোলপুর শহরের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নরেশ চন্দ্র বাউড়ি জানান, “যে মাঠে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে সেখানে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ ধরে। সেই জায়গায় এক হাজার মানুষকে নিয়ে অনুষ্ঠান করা হয়েছে এবং সব রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠান করা হয়েছে। গরিব মানুষদের কম্বল দেওয়ার জন্যই এই অনুষ্ঠান।”

তবে এই অনুষ্ঠান যে উদ্দেশ্য নিয়েই করা হোক না কেন যেখানে রাজ্য সরকার যে কোনো ধরনের অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে মানুষের উপস্থিতি নিয়ে নির্দিষ্ট সংখ্যা বেঁধে দিয়েছে, সেই জায়গায় এত সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি স্বাভাবিকভাবেই শাসক দলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। অন্যদিকে বিরোধী দল বিজেপির তরফ থেকে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, “রক্ষকই ভক্ষক। ভোট কেনার জন্যই এই সকল করছেন। মানুষের যদি সত্যিই উপকার করার ইচ্ছা থাকতো তাহলে অনেক উপায় ছিল। এইভাবে আইন লঙ্ঘন করে কম্বল বিতরণ করার প্রয়োজন ছিল না।”

Advertisements