শাহরুখের ভঙ্গিতেই একুশের ভোটে প্রচারে দিদি, প্রকাশ্যে এলো তৃণমূলের নতুন ব্যানার

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : শাহরুখ খানের সিনেমা ‘ম্যায় হুঁ না’ দেখেছেন তো! এবার সেই সিনেমার ব্যানারের আদলে একুশের ভোটে প্রচার করতে নামছেন দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)। ঠিক এমনই একটি ব্যানার গতকাল অর্থাৎ ২৭ আগস্ট প্রকাশ্যে আনলো তৃণমূল। এদিন তারা তাদের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে সেই ব্যানারের ছবি পোস্ট করেছে। পোস্ট হওয়া সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ঝাঁ-চকচকে ফিল্মি পোস্টারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক হাত তুলে সকলকে আশ্বস্ত করছেন ‘ম্যায় হুঁ না’।

Advertisements

পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল ২০১১ সালে শাসনে আসার পর দু’দফায় তাদের ১০ বছরের শাসনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে। ২০২১ সালেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। বর্তমান করোনা আবহের কথা মাথায় রেখে অনেকেই মনে করছিলেন ভোট পিছালেও পিছাতে পারে। তবে তেমনটা হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম, কারণ জাতীয় নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই করোনা আবহে কিভাবে ভোট গ্রহণ করা হবে তা সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করেছে। আর একুশের ভোট ঠিক সময়েই হবে কিনা তা বোঝা যাবে বিহারের বিধানসভা নির্বাচন থেকেই। কারণ চলতি বছরই রয়েছে বিহারের বিধানসভা নির্বাচন।

Advertisements

তবে বিধানসভা ভোট নির্দিষ্ট সময়েই হবে নাকি পিছিয়ে যাবে সে নিয়ে ভাবতে নারাজ শাসক থেকে বিরোধী কোনো রাজনৈতিক দলই। যে কারণে ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় ব্লকে ব্লকে প্রচার শুরু হয়ে গেছে। আর এই প্রচারের মাধ্যম হিসেবেই বৃহস্পতিবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ম্যায় হুঁ না’ সিনেমার ব্যানারের ভঙ্গিতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ছবি পোস্ট করতে দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেসকে। যে ছবিতে দেখা গিয়েছে নিজের স্বভাব সিদ্ধ ভঙ্গিতেই জনসমক্ষে আঙ্গুল তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই পোস্টারের মাথাতেই লেখা রয়েছে ম্যায় হুঁ না। ঠিক যেন একুশের বিধানসভা বৈতরণী বের করতে তিনি একমাত্র ভরসা।

Advertisements

আর সেই ব্যানার পোস্ট করার পাশাপাশি অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে লেখা হয়েছে, “বর্তমানে দেশের মানুষ এক অনিশ্চয়তা এবং উদ্বেগের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের পড়ুয়াদের এক বিপদের মুখে ফেলে দিয়েছে। আর তার রেশ ধরেই ছাত্রছাত্রীদের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য এই জ্বলন্ত সমস্যা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে এসেছেন। তিনিই হলেন প্রকৃতপক্ষে প্রত্যেকের নেত্রী!”

Advertisements