অনুব্রত গড়ে তৃণমূল ছেড়ে মিম-এ যোগ, সব আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা

অমরনাথ দত্ত : খোদ অনুব্রত গড়ে বুধবার তৃণমূলে ভাঙ্গন ধরালো আসাউদ্দিন ওয়াইসির হায়দ্রাবাদি দল All India Majlis-e-Ittehadul Muslimeen অর্থাৎ মিম। তৃণমূল ছেড়ে এদিন ১০ জন মিম-এ যোগ দিলো। সাথে সাথেই দিন কয়েকের মধ্যেই ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে মিম-এ যোগ করাবেন বলে দাবি করা হলো।

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি হয়েছে আসাউদ্দিন ওয়াইসি এবং ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর জোটে। আর তারই প্রভাব পড়তে শুরু করলো অনুব্রত গড়ে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা।

বুধবার বোলপুরের মিম-এর সদস্য মনিসুর রহমানের হাত ধরে বোলপুর ব্লকের সাত্তোর গ্রামের তৃণমূল কর্মী মহঃ শরীফ তার ১০ জন সঙ্গীকে নিয়ে আশ্রয় নিলেন আসাউদ্দিন ওয়াইসির দলের পতাকার নিচে। মহঃ শরীফ যোগ দেওয়ার সাথে সাথেই দাবি করেন, “আগামী দিন কয়েকের মধ্যে আমার পঞ্চায়েত থেকে ৪০০-৫০০ জন যোগ দেবেন। বিহারের ফলাফল দেখে আমরা উদ্বুদ্ধ হয়েছি এবং আমরা আশা করছি বাংলায় তার থেকে ভালো ফলাফল করবে মিম।”

অন্যদিকে সংগঠন বাড়িয়ে বোলপুরের মিম নেতা মনিসুর রহমান ঘোষণা করলেন, আসন্ন বিধানসভায় বীরভূমে সব আসনে তাদের প্রার্থী দেবেন। তিনি জানিয়েছেন, “আমাদের প্রতিক্রিয়া ভালো। বীরভূমে আমরা চারটি সিটে প্রার্থী দেবো বলেছিলাম। এখন আমরা আশা করছি এই সংখ্যাটা বাড়াবো। ১১ টার মধ্যে ৬ টাও হতে পারে, ১১ টাও হতে পারে। বিহারের নির্বাচনের পর আসন্ন বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে মিম। বিহারের থেকে বাংলায় সংগঠন অনেক ভালো।”

অন্যদিকে বাংলায় মিম-এর এই বাড়বাড়ন্ত নিয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেছেন, “ওরা তো করবেই। ওরা বিজেপির বি টিম। বিজেপি থেকে ৪০০ কোটি টাকা নিয়েছে। তবে এখানকার মুসলমানরা বিহারের মত হিন্দিভাষী মুসলমান নয়, এখানকার মুসলমানরা বাঙালি।”