You have to know for which bike will consume more oil: মানুষ চার চাকার থেকে দুই চাকা চালাতে বেশি পছন্দ করে। যেখানে চাহিদার পরিমাণ বেশি সেখানে সমস্যা অবশ্যই দেখা দেবে। মোটরসাইকেল সম্পূর্ণভাবে একটি যন্ত্র। তাই যে কোনো রকম ত্রুটি এতে দেখা যেতে পারে। যারা বাইক চালাতে বেশি পছন্দ করেন তাদের শুধু মাইলেজ (mileage of the bike) সম্পর্কে অভিযোগ থাকে। বর্তমান সময়ের বেশিরভাগ বাইক কিন্তু অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত এবং এতে রয়েছে প্রচুর মর্ডান সিস্টেম।
এমন বহু মানুষ এখনও আছেন যাদের কাছে আছে পুরনো বাইক। বেশিরভাগ মানুষ একটাই অভিযোগ করেন তাদের বাইকের মাইলেজ (mileage of the bike) দিন দিন কমে যাচ্ছে। তার সাথে বেড়ে যাচ্ছে তেলের খরচ। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না এর আসল কারণ কি? মোটরসাইকেলে এক ধরনের লিভার থাকে, যেটাতে বেশি নাড়াচাড়া করলে বাইকের মাইলেজ কমে যায় এবং তেল খরচ অনেক বেড়ে যায়।
বাইকের ক্ষেত্রে এই লিভারের গুরুত্ব কিন্তু অপরিসীম। আপনি যদি কখনো শীতল আবহাওয়াতে বাইক স্টার্ট করতে চান, তাহলে এই লিভারটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এমন অনেক সময় দেখা গেছে যে, অনেক বাইক দিনের পর দিন একই রকম অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেইসব বাইকগুলোকে সঠিকভাবে তৎক্ষণাৎ চালু করতে কিন্তু এই লিভারের গুরুত্ব রয়েছে। তাই মাইলেজের (mileage of the bike) সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই ধরে নিতে হবে এই লিভারে কোনো সমস্যা হয়েছে।
এখনকার বাইকগুলিতে আপনি দেখবেন ফুয়েল ইনজেকটেড সিস্টেম যা কিনা আগেকার বাইকের তুলনায় অনেক বেশি অ্যাডভান্সড। তবে পুরনো দিনের যে সমস্ত বাইক আছে তাতে আপনি এই ধরনের প্রযুক্তি পাবেন না। তার পরিবর্তে পেতে পারেন কার্বুরেটর সিস্টেম। এই যন্ত্রের প্রধান কাজ হল ইঞ্জিনে বাতাস এবং জ্বালানির মিশ্রণ সরবরাহ করা। তাই সম্ভবত পুরনো বাইকগুলিতে স্টার্ট করার সময় বেশ অসুবিধা পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু যদি নব ঠিকঠাক থাকে তাহলে বাইক স্টার্ট দিতে বেশি সময় লাগায় না। মোটরসাইকেলে যদি একটি চোক ইন্সটল করা থাকে, তাহলে ইঞ্জিন খুব সহজে শুরু হয় যায়। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন না এই চোক নবের আসলে কি কাজ? এর প্রধান কাজ বাইকে বেশি করে জ্বালানি পাঠিয়ে ইগনিশন সিস্টেম চালু করা, যায় ফলে মাইলেজও (mileage of the bike) ঠিকঠাক থাকে।
যদি ভালো করে লক্ষ্য করা যায় তাহলে দেখা যাবে যে, কোনো বাইকে এই নব হ্যান্ডেলবারে থাকে আবার কোনো মোটরসাইকেলে ফুয়েল ট্যাঙ্কের নিচে থাকে। এটি অন কিংবা অফ বা উপর নিচ নামানো যায় সহজেই। বেশিরভাগ পুরনো বাইকেই এই সিস্টেম আপনারা দেখবেন। আপনারা পুরনো হিরো স্প্লেন্ডর বাইকে এই লিভার দেখতে পাবেন। যখন চোক নব চাপা হবে তারপরেই কার্বুরেটর বাতাসের সরবরাহ বন্ধ করে দেবে। সেই কারণে ইঞ্জিনে বেশি করে তেল প্রবেশ করতে থাকে, সেই কারণেই ইগনিশন সিস্টেম দ্রুত কাজ করে। তাই বাইক স্টার্ট হতে শুরু করে। কিন্তু আপনাকে অবশ্যই এক্ষেত্রে বাইক স্টার্ট হওয়ার পর চোক নব বন্ধ করে দিতে হবে। যদি ইঞ্জিনে অতিরিক্ত জ্বালানি প্রবেশ করে, তাহলে কিন্তু মাইলেজ কমে যাবে।