চুইংগামে নিষেধাজ্ঞা, করোনা ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ এই রাজ্য সরকারের

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনাভাইরাসের কারণে ২১ দিনব্যাপী লকডাউন জারি করা হয়েছে।করোনাভাইরাস এখন এক ত্রাসের সৃষ্টি করছে। ইতিমধ্যেই তিন হাজারেরও বেশি মানুষ সংক্রামিত হয়েছেন ভারতে।

একসময় যোগীর রাজ্যে থুতু দিয়ে ফাইলের পাতা উল্টানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল যারা এরকম কাজ করবেন তাদের জন্য শাস্তি প্রয়োগ করা হবে। থুতু দিয়ে পাতা উল্টানোর পরিবর্তে স্পঞ্জ ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছিল। এর পিছনে একটাই কারণ ছিল না ভাইরাসের সংক্রমণ আটকানো। আমরা সবাই জানি যে থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে থুতু থেকে। এই আশঙ্কা থেকে আবারও আরেকটি পদক্ষেপ নিলেন হিমাচল প্রদেশ সরকার। এই পদক্ষেপগুলি জনস্বার্থেই বলবৎ করা হচ্ছে।

এখন হিমাচল প্রদেশের চুইংগাম খাওয়া ও বিক্রি করা নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করল হিমাচল প্রদেশ সরকার। এর কারণটা আপনারা খুব ভালো করেই জানেন, থুতু থেকে করোনা ভাইরাস ছড়ায় তাই আগামী ৩০ শে জুন অব্দি এই চুইংগাম খাওয়া ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। চুইংগামের সাথে গুটখা ও পানমশলা বিক্রিতেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। উল্লেখ্য যে এর আগে হরিয়ানাতেও চুইংগাম ব্যান করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বলে রাখি আজ ৫ই এপ্রিল রাত ৯ টায় ঠিক ৯ মিনিটের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘরের সকল আলো বন্ধ করে মোমবাতি, প্রদীপ, টর্চ অথবা মোবাইলের ফ্ল্যাশ জ্বালাতে বলেছেন। এই বার্তা তিনি প্রদান করেছেন ভারতবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং আরও বেশি সচেতন করে তুলতে। ঠিক যেমনভাবে যুদ্ধের আগে মানুষের মনোবল প্রয়োজন হয় এও ঠিক তেমনি। প্রধানমন্ত্রী কিন্তু এগুলি জ্বালানোর কাজটি ঘরের মধ্যে থেকেই করতে বলেছেন। তাই আপনি প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশ অনুরোধ মানুন অথবা না মানুন দয়াকরে ভিড় বা জমায়েত করে বাইরে বেরোবেন না। আর লাইট বন্ধ করলেও অন্যান্য বৈদ্যুতিন সারঞ্জাম চালিয়ে রাখবেন, যাতে করে গ্রিড ব্যবস্থায় চাপ না পরে।